বন্ধ হয়ে গেছে মেধাবী মুক্তা ও মঞ্জুর পড়াশুনা

বরিশাল বি.এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বি.কম (অনার্স) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মুক্তা গাইন বলেন, আমার দিনমজুর বাবা পরের জমিতে কামলা (দিনমজুরের কাজ) করতে করতে এখন নানারোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছেন। অর্থাভাবে বাবা চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারছেন না। এমনই অবস্থায় সংসারের অবস্থা আরো বেহাল হয়ে পরেছে। তাই উচ্চ শিক্ষার আশা ছেড়ে দিয়ে গত দু’মাস থেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। সে আরো বলেন, সংসারের এমনই এক বেহাল অবস্থায় একমাত্র আর্থিক সংকটের কারনে মুক্তার  কলেজে ভর্তি হওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
গৃহিনী মায়া রানী গাইন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, শত কষ্টের মাঝে কতো দিন যে মোর মাইয়ারা না খাইয়া স্কুলে গ্যাছে। কতো রাইতে (রাতে) যে কেরোসিনের অভাবে ওরা ল্যাহা পড়া করতে পারেনায়, হেইয়ার কোন হিসাব নাই। কোনদিন অগো ভালো কিছু খাওয়াইতে পারিনায়। হক্কল বাড়ির পোলা মাইয়ারা চেয়ার-টেবিলে বইয়া ল্যাহা পড়া করে। চেয়ার-টেবিলের অভাবে মোর মায়েরা (কন্যারা) কোনদিন চেয়ার-টেবিলে বইয়া ল্যাহা পড়া করতে পারেনায়। অগো বড় আশা লেহাপড়া কইরা বড় হওয়ার। অগো হে আশা ভগবান বুঝি কোনদিন পূর্ণ করবো না।
সমাজের মহানুভব সমাজপতি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সঠিক পৃষ্টপোষকতা পেলে দারিদ্র পরিবারের কন্যা মেধাবী মুক্তা ও মঞ্জু গাইন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দারিদ্র পিতা-মাতার মুখে একদিন হয়তো হাসি ফোঁটাতে পারবে।