বরিশাল সংবাদদাতা ॥ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী শেষে সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে আনন্দের পরিবর্তে হতাশ হয়ে পরেছে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ সহ একাধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা। ২০০৫-০৬ শিক্ষা বর্র্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেটে ভূল ধরা পরার কারনে এ হতাশা দেখা দেয়। গতকাল এ নিয়ে বিএম কলেজ, ওমেন্স কলেজ, হাতেম আলী কলেজ সহ একাধিক কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে স্ব-স্ব বিভাগের কলেজের শিক্ষকদের আশ্বাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিএম কলেজের রাস্ট্র বিজ্ঞান থেকে অনার্স পাশ করা ছাত্র সোলায়মান জানান, তিনি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রী শেষ করে সনদ হাতে পেয়েছেন। কিন্তু তার সনদে নামের বানানে ভূল সহ একাধিক স্থানে ফুলস্টপ রয়েছে। সমাজকল্যানের ছাত্র রিয়াজুল হক আকন জানান, তার সনদেও অসংখ্য ভূল। তিনি তার বিভাগের শিক্ষক ও কর্মচারিদের কাছে এ বিষয়ে আলোচনা করলে তারা জানান নিয়ম-কানুনের কথা। যা সময়-স্বাপেক্ষ এবং অনেক টাকা পয়সা খরচের বিষয়। রিয়াজ বলেন, তাকে তার বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংক ড্রাফট করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশোধন করা সম্ভব। ওমেন্স কলেজের সুমাইয়া আক্তার, নাসরিন সুলতানা ও নাজনিন আক্তার জানান, তাদের কলেজেরও প্রায় ৪০ থেকে ৫০জনের সার্টিফিকেটে ভূল রয়েছে। হাতেম আলী কলেজের মিজানুর রহমান, ছালাম, রুমন, আমিন লিংকন সহ একাধিক বিভাগের আরো প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থীরও একই অভিযোগ। বিএম কলেজের ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ও পাভেল জানান, প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেটে ভূল রয়েছে। যে কারনে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্দ হয়ে পরেছিল। পরে স্ব-স্ব বিভাগের হেড অফ ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস জানান, এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটরদের ভূল। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের সার্টিফিকেটে ভূল রয়েছে তারা শীঘ্রই সেগুলো স্ব-স্ব কলেজের প্রশাসনিক ভবনে জমা দিবে। কলেজগুলো তাদের অর্থায়নে তা সংশোধন করার ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলেও জানান তিনি।