নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ র্যাবের অভিযান টের পেয়ে পালাতে গিয়ে ষ্টক করে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মারা গেছে। মারা যাওয়া মোঃ শাহাবুদ্দিন খান সাবু (৫০) বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ড কোষ্টাল বরফকল এলাকার মৃত বারেক খানের পুত্র। সাবু মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে নগরীর বাঁধ রোড কোষ্টাল বরফকল এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার পরিবারের দাবি হৃদরোগে আক্রান্ত সাবুকে মারধর করায় সে মারা গেছে।
র্যাব-৮ এর ১নং কোম্পানীর কমান্ডার মেজর রাশেদুল হাসান খান উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নগরীর রাজা বাহাদুর সড়কের গণপূর্ত বিভাগের পুকুর পাড়ের ফুটপাত থেকে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ৩’শ পিচ ইয়াবাসহ রফিকুল ইসলাম মনু (৫০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মনু জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা শাহাবুদ্দিন খান সাবুর কাছ থেকে সে ক্রয় করেছে। মনুর উদ্বৃতি নিয়ে মেজর রাশেদ আরো জানান, সাবু নগরীতে পাইকারী ইয়াবা বিক্রেতা ও তার কাছে বিপুল পরিমান ইয়াবা রয়েছে। সে অনুযায়ী র্যাব সদস্যরা কোষ্টাল বরফকল এলাকায় সাবুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন। র্যাবের তল্লাশী চলাকালে সাবুর স্ত্রী রাশিদা বেগম জানিয়েছেন, সাবু তার চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন।
র্যাব সাবুর বাসায় তল্লাশী শেষে বের হওয়ার পথে জানতে পারে সাবু বাসার পাশের ভবনে আত্মগোপন করেছে। এ তথ্য অনুযায়ী কয়েকজন স্বাক্ষীকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা ওই ভবনে অভিযান চালায়। সেখানে গিয়ে সাবুকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তখন সাবুকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলে র্যাব। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা সাবুকে মৃত ঘোষনা করেন।
সাবুর বোন আলমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, র্যাবের একটি দল রাত ৮টার দিকে তার ভাইয়ের বাসায় ইয়াবা বড়ি রয়েছে এমন অভিযোগে তল্লাশী চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সাবু বাসার পাশের ভবনে গিয়ে আশ্রয় নেয়। র্যাব সেখানে গিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। এই সময় ভবনে কাউকে উঠতে দেয়নি র্যাব সদস্যরা। পরবর্তীতে এক ঘন্টা পর আমি সেখানে গিয়ে সাবুকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি।