রমজানকে পুঁজি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় রমজানকে পুঁজি করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজার মনিটরিং না থাকায় সরকারের নির্ধারিত কিছু পন্যের দাম নির্ধারণ করলেও কোনো বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা চিনি ও সয়াবিন তেল। দু’উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন বাজারে জিনিসপত্রের দামের পার্থক্য লক্ষ করা গেছে। তবে উপজেলা সদর বাজারে অন্যান্য বাজারের তুলনায় তুলনামুলক দাম বেশি। উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং কমিটি রমজানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মনিটরিং না করায় মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে নিজেদের ইচ্ছেমত দাম হাকিয়ে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করছে। তাদের নির্ধারিত দামে পন্য কিনতে স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের নাভিস্বাস উঠেছে।

গৌরনদী পৌর এলাকাসহ ৭টি ও আগৈলঝাড়ার ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মূল্য কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বেশি মূল্যের পাশাপাশি ভেজালে সয়লাব রয়েছে প্রতিদিনকার ইফতারসহ বিভিন্ন খাদ্য পন্য। বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে সয়াবিন প্যাকেট প্রতি কেজি ১২৫ টাকা দর থাকলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ৫৪ টাকায় চিনি বর্তমানে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, আখের গুর গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা থাকলেও বর্তমানে ৭০ টাকা, ছোলাবুট গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, বেগুন গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, বর্তমানে ৩৫-৪০ টাকা, মশুর ডাল গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ডাল ৮০  টাকায় বর্তমানে ১শ ১০ টাকা, দেশি পিয়াজ গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২২-২৫ টাকার স্থলে বর্তমানে ৩০-৩৫ টাকা, আটা (প্যাকেট) ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বর্তমানে ১’শ থেকে ১১০ টাকা, শশা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৪ টাকা বর্তমানে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের ২২ টাকার আলু বর্তমানে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মূল্য পূর্বের চেয়ে বর্তমানে ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফলের বাজারে অধিক দামসহ ফরমালিন যুক্ত আমে সয়লাব থাকলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা।

অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারনে সাধারণ লোকজন বাজারে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্বল্প আয়ের লোকজন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না কিনে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং করার কথা থাকলেও নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় ভেঙ্গে পরেছে সরকারি দামের বাজার ব্যবস্থা।