বরিশালে সর্বহারা পরিচয়ে জনতা ব্যাংকের চার ব্যবস্থাপকের কাছে চাঁদা দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ জনতা ব্যাংকের বরিশাল কর্পোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ তিন শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে ফোনের মাধ্যমে সর্বহারা পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় তিন শাখা ব্যবস্থাপক সাধারন ডায়েরী করেছেন। একই সাথে র‌্যাব-৮ এর ১নং কোম্পানী কমান্ডার মেজর রাশেদুল হক খানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান। তিনি নগরীর মেডিকেল কলেজ শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান বলেন, প্রথমে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্যাংকের টেলিফোন নাম্বরে ফোন করে নিজেকে সর্বহারা দলের সদস্য পরিচয় দিয়ে বলেন, সর্বহারা দলের ফাষ্ট ইন কমান্ড সিকদার মহিউদ্দিন আপনার সাথে কথা বলবেন। তার সাথে সম্মানের সাথে কথা বলবেন জানিয়ে সিকদার মহিউদ্দিন পরিচয় দেয়া ব্যক্তি বলেন, আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আপনাকে চাঁদা দিতে হবে। আপনি যা পারেন তাই দিবেন বলে সংযোগ কেটে দেন। ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান আরো বলেন, তাদের টিএন্ডটি নম্বরে কলার আইডি রয়েছে। বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবির ০১৮৩৯-০৯৯২৬ নম্বর থেকে ফোন করে এই চাঁদা দাবি করা হয়।
সংযোগ কেটে দেয়ার পর বিষয়টি তিনি কর্পোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ আলতাফ হোসেনকে অবহিত করেন। তখন তিনিও জানান, সর্বহারা পরিচয়ে তার কাছেও চাঁদা দাবি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বুধবার পর্যন্ত নগরীর পোর্ট রোড শাখা ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন ও চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক বিমল কৃষ্ণের কাছেও একইভাবে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়। আফজাল হোসেনের কাছে দু’লাখ টাকা উল্লেখ করলেও আর কারো কাছে টাকার পরিমান উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোতয়ালী মডেল থানায় তিনটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শাহিদুজ্জামান বলেন, চাঁদা দাবির ঘটনায় দায়ের করা সাধারন ডায়েরীগুলো থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন শেখকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মহিউদ্দিন শেখ বলেন, এখনও আমি জিডির কপি হাতে পাইনি। হাতে পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে রির্পোট প্রদান করা হবে।