বরিশালে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের পর একমাত্র সন্তানসহ গত তিনমাস পূর্বে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দিয়েছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে। এরইমধ্যে গত ১ আগস্ট প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে পাষন্ড স্বামী অরুন বিশ্বাস। ফলে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন গৃহবধূ প্রিয়াংকা বাড়ৈ। ঘটনাটি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা গ্রামের।

জানা গেছে, দু’বছর পূর্বে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামের বাবলু বাড়ৈর কন্যা প্রিয়াংকা বাড়ৈকে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কারফা গ্রামের ধীরেন বিশ্বাসের পুত্র অরুণ বিশ্বাসের কাছে। বিয়ের সময় বর পক্ষের যৌতুক হিসেবে দাবিকৃত একলক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভী অরুণ ও তার পরিবারের লোকজনে পূর্ণরায় একলক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য প্রিয়াংকাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। এতে প্রিয়াংকা অপরাগতা প্রকাশ করায় প্রায়ই তাকে শারিরিক নির্যাতন করা হতো। গত তিনমাস পূর্বে অমানুষিক নির্যাতনের পর প্রিয়াংকাকে তার একমাত্র কন্যা সন্তান টাপুরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এরইমধ্যে প্রিয়াংকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অসংখ্যবার ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পায়নি। গত ১ আগস্ট যৌতুকলোভী অরুন বিশ্বাস মোটা অংকের টাকা যৌতুক নিয়ে একই উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কাউয়ারাখা গ্রামের শচীন মজুমদারের কন্যা আল্পনাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ খবর জানতে পেরে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন প্রিয়াংকা। তিনি স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে প্রসাশনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বরিশালে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে