হিজলার ডিগ্রিরচরে দিনমজুরকে হত্যার পর মাটি চাঁপা – স্ত্রীসহ চারজন গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের হিজলার ডিগ্রিরচর গ্রামে ঘরজামাই দিনমজুর স্বামীকে হত্যার পর মাটি চাঁপা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার ২০ দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ স্ত্রী, শশুর, শাশুড়িসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-ডিগ্রিরচর গ্রামের শশুর জলিল বেপারী (৬০), শাশুড়ী রাকিবা বেগম (৫৫), স্ত্রী নাজমা বেগম ফালানী (২০) ও পরামর্শদাতা একই গ্রামের সামসুল হক চৌকিদার (৪৫)। হত্যার শিকার আলমগীর হোসেন বেপারী (২৫) একই গ্রামের মৃত আহম্মেদ বেপারীর পুত্র। নিহত আলমগীর হোসেন জলিল বেপারীর আপন ভাইয়ের ছেলে।

হিজলা থানার ওসি মোঃ শওকত আনোয়ার জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দারা শুক্রবার বিকেলে আলমগীর হোসেনকে হত্যার পর গুম করার অভিযোগে শশুড় জলিল, শাশুড়ি রাকিবা ও স্ত্রী ফালানীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ আটককৃতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানা অভ্যন্তরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে ২০ দিন পূর্বে আলমগীর আতœহত্যা করেছে। এরপর প্রতিবেশী সামসুল হক চৌকিদারের পরামর্শে বাড়ির পাশের এক ডোবায় আলমগীরকে মাটি চাঁপা দেয়া হয়েছে। তাদের দেখানোস্থানে মাটি চাঁপা দেয়া লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। আদালতের আদেশের জন্য সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়নি বলেও ওসি উল্লেখ করেন। ওসি আরো জানান, আলমগীরের আত্মহত্যা করার ঘটনাটি বানানো। তাকে হত্যার পর মৃতদেহ মাটি চাঁপা দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। মৃত আলমগীরের কোন স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার মতিউর রহমান বাদি হয়ে সংঘবদ্ধভাবে হত্যার পর লাশ গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও পরামর্শদাতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই সাথে লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতির জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। বর্তমানে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও ওসি শওকত আনোয়ার উল্লেখ করেন।