ইতিহাসের আলোকে কৃষি কথা

শিকদার রেজাউল করিম ॥ ভুতত্ত্ববিদদের মতে ২৯ কোটি বছর আগে আসাম সাগরের তীরে হিমালয় পর্বত ওভাবেই দাঁড়িয়েছিল। এরপর পৃথিবীতে জ্বীন জাতির বসতি শুরু হয়। তাদের মাঝে Rezaul Karimআল্লাহর সংবিধান নিয়ে পর্যায়ক্রমে পাঁচজন জ্বীন-নবীর ও আবির্ভাব হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর নাফরমানি করায় পাঁচবারই পৃথিবীতে মহাপ্রলয় ঘটিয়ে আল্লাহ তাদের সায়েস্থাও করেছিল। জ্বীনদের আয়ুকাল হাজার-হাজার বছর। একটা ঘটনা থেকে তাদের জীবিত কালের ধারনা নেয়াযায়। যেমন- ইবলিসের শিক্ষক সার্বুক আদর্শ শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি ছত্রিশ হাজার বছর শিক্ষকতা করানোর পরের ছাত্র হল ইবলিস। যাহোক পৃথিবীতে কৃষি কাজ সদ্ভত আনুমানিক তেরকুটি তেরলক্ষ তের হাজার বছর আগেই হয়েছিল। এ হিসাব ধরার একটা দুর্বল যুক্তি এখানে দেখাচ্ছি। যেমন-আদি বাবা আদম (আঃ) আয়ু পেয়েছিলেন ৯৫০ বছর। নুহু (আঃ) আয়ু পেয়েছিলেন ১০৫০ বছর। ইব্রাহিম(আঃ) আয়ু পেয়েছিলেন ২২৩ বছর এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আয়ু পেয়েছিলেন ৬৩ বছর। তাহলে চারযুগে চার নবীর মোট বয়স হয় ২২৮৬ বছর এবং গড় বয়স হয় ৪৫৯ বছর এবং পৃথিবীর সকল মহাদেশসহ নবীর সংখ্যা দুই লক্ষ-২৪ হাজার। তাহলে ২ লক্ষ ২৪ হাজার গুন ৪৫৯ বছর এবং তাতেই উক্ত তের কোটি, তেরলক্ষ, তের হাজার বছর।যারা এ মন্তব্যের বিরোধিতা করবেন তাহলে তারা একটা সবল যুক্তি দেখান যে পৃথিবীর বয়স এত হবে। যাহোক, আদম-হাওয়া স্বর্গচ্যুত হয়ে তিন’শ বছর পরস্পর পরস্পরকে পেলেন না এবং শেষতক আল্লাহর অনুগ্রহে তারা সংর্স্পশে আসেন। জীবন জীবিকার জন্য তাদের কৃষি কাজের ওপর নির্ভর করতে হল। জিব্রিল আমীন তাদের কৃষি উপকরন সমূহ যোগার করে দিলেন ও আল্লাহর হুকুমে দু’টো গরুর ব্যবস্থা করে দিলেন। ওই গরু দু’টো কিন্তু কথা বলতে পারত, শেষ পর্যন্ত আল্লাহ গরুর বাকশক্তি বোবা করে দিলেন। সে যুগে বীজ বপনের সাথে সাথেই ফসল হয়ে যেত। আদম হাওয়ার খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেল। এভাবে পৃথিবীতে কৃষির সুচনা হল। নুহু (আঃ) এর সময়ে প্লাবনের পর মাত্র ৮০ জন নর-নারী জীবিত ছিলেন এবং তা থেকেই বর্তমান পর্য়ন্ত পৃথিবীতে ৬০০ কোটি লোকের বসতি। আদি…….. নীলনদের তীরস্থ মিসরবাসী কৃষিতে বিশেষ অবদান রেখেছিলো। ভৌগলিক বিবর্তনের ফলে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অষ্ট্রিক মঙ্গলীয় সিমেটিক আর্য জনগোষ্ঠী ইতিপূর্বেই কৃষিতে পারদর্র্শী ছিল। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তারা ভারতবর্ষে আগমন করেছিল। আর্যদের আগমনের বয়স মাত্র ৫,০০০ বছর কিন্তু তারও বহু আগে ভারতবর্ষের মনুষ শিকারী জীবন ছেড়ে চাকুরি, ব্যবসা ও কৃষি কাজ আরম্ভ করেছিল। কৃষির মূল্যায়ন দেখা যায় উপনিষদ থেকেও। যেমন-বানিজ্যে বসতে  লক্ষী, তদার্ধাং কৃষিকার্য্য,ে তদার্ধাং রাজ সেবায়ংরাজ মোবায়া; ভিক্ষা-নৈঃ বত্যচঃ। এখন দেখাযাক কিভাবে নিত্য নতুন কৃষিখেত তৈরী হয়েছিলো। ভৌগলিক বিবর্তনে আসাম সাগর ভরাট হয়ে হৃদে পরিনত হল এবং ক্রমন্বয়ে বিল-ঝিল, দ্বীপ-বদ্বীপ সৃষ্টি হতে থাকল। হাজার-হাজার বছর তা অনাবাদী থাকায় প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী হল বনভূমি।