ভয়াল ২১ আগস্ট – প্রিয় নেত্রীর জীবন বাঁচাতে শহীদ হয়েছিলেন বরিশালের সেন্টু

খোকন আহম্মেদ হীরা, গৌরনদী ॥ “প্রিয় নেত্রীর (শেখ হাসিনা) জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎস্বর্গ করে দিয়েছেন বরিশালের গৌরব ও অহংকার মোস্তাক আহম্মেদ সেন্টু। সেন্টু ভাই ছিলেন এতদাঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা। দলমত নির্বিশেষে এলাকার সর্বস্তরের জনগনের হৃদয়ে ছিলো তার অবস্থান। তিনি ছিলেন মিষ্টিভাষি ও সদালপি। খুব অল্পসময়ই তিনি মানুষকে ভালবেসে আপন করে নিতেন। তার অনুপস্থিতি আজ মুলাদীকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, রয়ে গেছে তার সকল স্মৃতি। আমরা শহীদ সেন্টু ভাইয়ের খুনীদের ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী এবং পরিকল্পনাকারীদের অনতিবিলম্বে ফাঁসি চাই”।

গত মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বিকেলে একুশ আগস্টের হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের অনতিবিলম্বে বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে কথাগুলো বলছিলেন, সেন্টুর নিজ এলাকা মুলাদীর রামাপোল শহীদ সেন্টু স্মৃতি সংঘের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও শহীদ সেন্টুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ রাজিব হোসেন ভূঁইয়া রাজু। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক শহীদ মোস্তাক আহম্মেদ সেন্টুর স্মৃতিচারন করতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি (রাজু) কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
সূত্রমতে, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও মুলাদী উপজেলার রামপোল গ্রামের মরহুম আফসার উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মোস্তাক আহম্মেদ সেন্টু। ছাত্রজীবন থেকেই সে আওয়ামীলীগের রাজনিতীর সাথে জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে কখনোই তিনি নিজের কথা ভাবেননি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম, মাটি ও মানুষের সাথে গভীর মমতার ছাঁপছিলো তার মাঝে। তাই তিনি সব সময় চিন্তা করতেন দেশের উন্নয়নকে ঘিরে। ২০০৪ সনের ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগের জনসভায় যখন গ্রেনেড হামলা শুরু হয়, ঠিক সে সময় প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে গিয়ে মোস্তাক আহম্মেদ সেন্টু মাত্র ৩৬ বছর বয়সে শহীদ হন।