গৌরনদ সংবাদদাতা ॥ পৌর মেয়রকে তুষ্ট করতে গিয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিযেই বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের বাসিন্দা ও খুলনা কোতোয়ালী থানার এসআই মোঃ খরিলুর রহমান নির্দোষ হওয়া সত্যেও তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছেন ওসি আবুল কালাম। এ ঘটনায় গৌরনদীর থানা, হাইওয়ে থানা ১টি তদন্ত কেন্দ্র ও ২টি ক্যাম্পে কর্মরত পুলিশ সদস্যসহ এলাকাবাসীর চরম মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হুমকিতে গ্রেফতারকৃত পুলিশ অফিসার ও কনেষ্টবলের পরিবার সহ ৪টি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায ভুগছে।
পুলিশ অফিসার খলিলের ভাগ্নি উত্তর বিজয়পুর গ্রামের রোকসনা (৩৮) জানান, তার মামা ঘটনার দিন বৃহষ্পতিবার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে তাদের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। রাত ৯ টার দিকে রাতের খাবার খেযে আমাদের বাসায় রাত্রি যাপনের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন। আমার বাসা থেকে শুক্রবার সকালে মামা তার কর্মস্থলে যাওয়ার কথাছিল। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মামা মোবাইল ফোনে খবর পান যুবলীগ নেতা টুকু মল্লিক ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে তার ভাই ও ভাতিজাদের আহত করেছে। বিলম্ব না করে আমার স্বামী সেকান্দারকে সাথে নিয়ে মামা রিকশা যোগেসরাসরি গৌরনদী থানায় যান। এরপর তিনি গ্রেফতার হয়েছেন এখবর পেয়ে তিনি হতবাক হন।
পুলিশ অফিসারের ভাতিজা গ্রেফতারকৃত পুলিশ কনেষ্টবল রশিদ আকনের কন্যা নিপু বেগম (৩০)অভিযোগ করেন, আমাদের পরিবারের লোকজন আহত হবার পর আমরা থানায় মামলা দিতে গেলে ওসি মামলা নেননি। এ সময় মেয়র আমাদের সাথে দুব্যবহার করেন এবং আমাদের থানা থেকে বের করে দেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। তিনি গভীর রাত পর্যন্ত থানায় ওসির রুমে অবস্থান করে প্রতিপক্ষকে দিয়ে মামলা করান। অথচ ওসি পৌর মেয়র হারিছকে তুষ্ট করতে আমার বাপ-চাচা, স্বামী ও ভাইদের আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান।
এদিকে প্রতিপক্ষ টুকু মল্লিক ও তার লোকজন এখনো তাদের ভযভীতি প্রদান করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গৌরনদী থানা, হাইওয়ে থানা ও ২টি পুলিশ ফাড়ির কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও কনেষ্টবল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিনা দোষে একজন একজন পুলিশ অফিসার ও একজন কনেষ্টবলকে এভাবে গ্রেফতার করা অমানবিক। বাংলাদেশ সুপ্রীমর্কোটবারের বিজ্ঞ আইনজীবি গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, কোন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে হলে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি প্রয়োজন। বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্রাচার্য বলেন, আমার অনুমোতি না নিয়ে গৌরনদী থানার ওসি একজন পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করেছে বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গ্রেফতারকৃত পুলিশ অফিসার নির্দোষ হলে তার নাম চার্জশীট থেকে বাদ দেয়া হবে।
পৌর মেয়র হারিছুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।