বিএনপি নেতা ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের অভিযোগ

আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার গ্রামের ফজলে করিম পাইকের বড়পুত্র ও ঢাকা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দারোয়ান আব্দুস সোবাহান পাইক (৫২) গতকাল সোমবার সকালে গৌরনদী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম পাইক। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এস.এস.সি, এইচ.এস.সি সহ বিভিন্ন ক্লাশের সনদপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে হরদমে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও সেলিম বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ওই এলাকার নিরিহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, লুটপাট করেছে। তার লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি পুতুল, জোত্যিসহ অসংখ্য মহিলারা। অভিযোগে আরো জানা গেছে, সেলিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত এক বছর পূর্বে উপজেলার চাঁত্রিশিরা গ্রামের পুতুল নামের জনৈক মহিলাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে কৌশলে পুতুলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক সেলিম উল্টো পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
সেলিমের এসব অপকর্পের প্রতিবাদ করায় একাধিকবার সোবাহানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরইমধ্যে সোবাহানকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে সেলিম। তারই ধারাবাহিকতায় সোবাহান পাইক তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম, পুত্র মামুন ওরফে বাবু ও সজিব পাইকের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে সেলিম। মামলা দায়ের করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি প্রতারক সেলিম পাইক। সোবাহানের বিবাহিত দু’কন্যা লাইজু ও আরজুর বিরুদ্ধে তাদের স্বামীর বাড়িতে নানা কুৎসা রটিয়ে তাদের তালাক দেয়ার জন্য সেলিম পাইক প্রবাহিত করছে। সোবাহান পাইক আরো জানান, সেলিমের এসব অপকর্মের সুষ্ঠ তদন্ত করলেই সকল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। প্রতারক সেলিম পাইকের হাত থেকে রক্ষা পেতে সোবাহান পাইক প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।