ফসলী জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ – বরিশালের সাত আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ ফসলী জমি দখল করে আবাসন প্রকল্পের সাইনবোর্ডে ভরে উঠেছে বরিশাল নগরী। কোথাও জলাশয় আবার কোথাও পুকুর-ডোবা ভরে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ। পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় এ ধরণের সাতটি আবাসন প্রকল্পকে চিহ্নিত করে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর। আগামি ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দেশনা পালন না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও অধিদপ্তরের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন।

বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট অধিদপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অবৈধ আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত চিহ্নিত করার লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা সার্ভে অনুযায়ী নগরীর বর্ধিত এলাকা বিশেষ করে ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ডের ফসলি জমির ওপর আবাসন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নগর সংলগ্ন কর্নকাঠী এলাকার ফসলি জমি দখল করে একাধিক হাউজিং প্রকল্প গড়ে উঠেছে। পরিবেশগত অনুমোদন না থাকা নগরীর সনাক্তকারী সাতটি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-রূপাতলী এলাকার যুননুরাইন রিয়েল স্টেট, কাশিপুরের কাজী হাউজিং প্রকল্প, আলেকান্দার অগ্রনী হাইজিং প্রকল্প, সিএন্ডবি রোডের বোরাক হাউজিং এন্ড ডেভেলপিং, দেশ প্রপার্টিজ, সাউথ গ্রীন হোল্ডিং লিমিটেডসহ আরো একটি প্রতিষ্ঠান। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে গত ২৮ আগস্ট আবাসন প্রকল্প কার্যক্রম বন্ধের জন্য নোটিশ দেয়া হয়। এসব আবাসন প্রকল্প চালু করার আগে অবস্থানগত ছাড়পত্র না দেয়ায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ১২ ধারা ভঙ্গ করায় প্রতিষ্ঠান প্রদানের বিরুদ্ধে ৫ বছর কারাদন্ড অথবা ১ লাখ টাকা অর্থ দন্ডের বিধান রয়েছে। নোটিশে উল্লে¬খ করা হয়, আগামি ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দেশনা পালন না করলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।