নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশাল বিভাগীয় ট্রাক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের রবিবার ছিলো দ্বিতীয় দিন। পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের কারনে প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ পণ্যনিয়ে আটকা পড়েছে। যার প্রভাব পরেছে ডিম, মাছ, ফল ও সব্জীর বাজারে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে বরিশালের বাজারের এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ধর্মঘট আহবানকারী নেতারা জানান, অনতিবিলম্বে বরিশালে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, চালকদের সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন করা, ট্রাক টার্মিনাল না হওয়া পর্যন্ত সিটি টোল বন্ধ রাখা, ইলিশা-ভেদুরিয়া-লাহারহাট ফেরিঘাটের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করন এবং ওজন মেশিন স্থাপন করে ওভার লোড বন্ধ করার দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে অনিদৃষ্টকালের জন্য ধর্মঘরের ডাক দিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় ট্রাক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এদিকে তাদের দাবি পূরণের লক্ষ্যে রবিবার সকালে বরিশাল রহমতপুর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ধর্মঘটের আহবান করা মালিক ও শ্রমিকেরা। রহমতপুর বিমানবন্দর সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে, দপদপিয়া সেতু ও কালিজিরা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ধর্মঘটের আওতায় থাকা পণ্যবাহী যানবাহন আটকে দেয়ায় গত দু’দিনে এসব এলাকায় যশোর থেকে আসা ডিম, মাছ, উত্তারঞ্চল থেকে আসা, কলাসহ সব্জীর প্রায় পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পরেছে। ফলে ওইসব এলাকার মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ধর্মঘটের কারনে বরিশালের বাজারে দুই থেকে দশ টাকা হারে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক ইমান আলী শরীফ ও বরিশাল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের গড়িয়ারপাড় ইউনিটের সহসভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন খান জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরন তাদের দাবির প্রতি আশ্বস্ত করলেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। উল্লেখ্য, মেয়র হিরন সরকারি সফরে দেশের বাইরে রয়েছেন। আজ সোমবার তার বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে। ওইদিনই তিনি (মেয়র) বরিশালে আসবেন।