নিহত কলেজ ছাত্রী কেয়া মনি’র হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মাহিলাড়ায় বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের বিএ শেষবর্ষের ছাত্রী ও গৃহবধূ কেয়া মনির মূলহত্যাকারী ঘাতক স্বামীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসির দাবিতে বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের সহপাঠী ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। সকাল দশটায় মাহিলাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, উপজেলার মাহিলাড়া গ্রামের জবেদ আলী সরদারের কন্যা কেয়া মনিকে (২৪) গত ৭ বছর পূর্বে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয় একই উপজেলার চরগাধাতলী গ্রামের আব্দুস ছালাম গাজীর পুত্র খোরশেদুল আলম মিলনের কাছে। নিহত কেয়া মনির ভাই রিয়াদ হোসেন বলেন, বিয়ের পর আমার বোনকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন মিলন। দাম্পত্য জীবনে নানা অজুহাতে আমার বোনকে প্রায়ই শারীরিক ও মানুষিক নিযার্তন করা হতো। তিনি আরো বলেন, আমার দুলাভাই মাসের মধ্যে ১০ থেকে ১২ দিন রাতে বাসায় ফিরতো না। মাঝে মধ্যে মাতাল অবস্থায় গভীর রাতে বাসায় ফিরে আমার বোনকে অমানুষিক নির্যাতন করতো। সে কালোবাজারী (অবৈধ) ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। গত ২০ আগষ্ট এ নিয়ে কেয়া মনির সাথে মিলনের তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কেয়ামনিকে বেদম মারধর করে মুর্মুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা করে কেয়ামনি পল্লবী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।

নিহতের খালু কবির হোসেন জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার ভাগ্নি তাকে মোবাইল ফোনে মিলনের অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও পরকীয়ার বিভিন্ন অমকর্মের কথা জানায়। পরবর্তীতে সে (কবির হোসেন) মিলনকে মোবাইল ফোনে অন্ধকার জগত থেকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিনই (গত ১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে মিলন ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে কেয়া মনিকে হত্যা করে। হত্যার পর ভাড়াটিয়া কিলার আব্দুর রহিম মিরাজী ওরফে রনক ও আরমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ ফেলে পালানোর সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিয়াদ হোসেন বাদি হয়ে নিহতের স্বামী খোরশেদুল আলম মিলন, শশুর আব্দুস ছালাম গাজী, কিলার আব্দুর রহিম মিরাজী ওরফে রনক ও আরমানকে আসামি করে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) এবাদ আলী বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্ঠা চলছে।