বরিশালে যুবলীগ নেতাকে থানায় এনে অমানুষিক নির্যাতন – ওসির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল নগরীর বিমানবন্দর থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি কাজী লিটনকে থানায় ধরে এনে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাতে পুলিশ কমিশনার অভিযুক্ত ওসি শাখাওয়াত হোসেন, এসআই শাহবাস ও পিএসআই আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, একটি বিরোধী জমির দখল করতে না দেয়ায় বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি লিটন কাজীকে মামলায় জড়ানো হয়। গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতাকে থানায় ধরে এনে বিমান বন্দর থানায় ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা রাতভর নির্যাতন করে। পরেরদিন প্রত্যুষ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে  প্রেরন করা হয়। যুবলীগ নেতার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত যুবলীগ নেতাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ব্যর্থ হন। যুবলীগ নেতা লিটনের পরিবারের অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছাগল চোরকে মারধর করায় ওসি শাখাওয়াত লিটনকে উল্টো ছাগল চুরির মামলা জড়িয়ে থানায় ধরে এনে রাতভর নির্যাতন করেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমান ওই থানার এসি মাহমুদুল হাসানকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্ত গতকাল রবিবার মাহমুদ হাসানের বিরুদ্ধে ওসিকে সহযোগীর অভিযোগ ওঠায় পুলিশ কমিশনার মোঃ সামুসদ্দিন তদন্তকারী কর্মকর্তা রদবদল করে ডিবির এসি রিয়াজ হোসেনকে নতুন করে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।