বাটাজোর ইউনিয়নের ঘেয়াঘাটে কলেজ শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে ন্যাড়া করে দিয়েছে জনতা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ গভীর রাতে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ইউপি সদস্যর বসত ঘরে ঢোকার অপরাধে বরিশালের গৌরনদীর এক কলেজ শিক্ষককে রবিবার রাতে গণধোলাই দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা মেখে দিয়েছে এলাকাবাসী। রাতভর ওই শিক্ষককে হাত-পা বেঁধে আটক করে রাখা হলেও সোমবার সকালে তার (শিক্ষকের) পিতা ক্ষমা প্রার্থনা করে আটককৃত শিক্ষক তরুন চক্রবর্তীকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের ঘেয়াঘাট গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাটাজোর রাবেয়া ফজলে করিম মহিলা মহাবিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক ও ঘেয়াঘাট গ্রামের তারক চক্রবর্তীর পুত্র তরুন চক্রবর্তী (৩০)। রবিবার রাত তিনটার দিকে পাশ্ববর্তী বাড়ির ইউপি সদস্য সহিদ বিশ্বাস বাড়িতে না থাকার সুবাধে অসদ উদ্দেশ্যে শিক্ষক তরুন চক্রবর্তী কৌশলে ইউপি সদস্যর বসত ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ইউপি সদস্যর ঘরে তার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলো। হঠাৎ করে ইউপি সদস্য বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশের চেষ্টাকালে তরুন ঘর থেকে দৌড়ে পালাতে চেষ্ঠা করে। এসময় ইউপি সদস্যর ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে এসে তরুনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তার (তরুনের) মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা মেখে হাত-পা বেধে আটক করে রাখে। সোমবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় শত শত জনতার উপস্থিতিতে আটক তরুনের পিতা তারক চক্রবর্তী পুত্রের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করে আটক তরুনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বাবুল।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এরপূর্বেও নারীলোভী শিক্ষক তরুন চক্রবর্তী অসংখ্যবার একাধিক স্থানে অপর্কম করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পরে লাঞ্চিত হয়েছেন।