লাখো দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে কীর্তনখোলা নদীর নৌকা বাইচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। আর নদীর দেশ বরিশালের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তির পথে। বাংলার এসব পুরানো সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয়েছিলো মেয়র নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয় কীর্তনখোলা নদীর দু’প্রান্তে। এসময় উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়ে পুরো এলাকা লোকারন্যে পরিনত হয়। নদীর লাখো দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে কীর্তনখোলা নদীর নৌকা বাইচতীরে জায়গা না মেলায় অনেকে লঞ্চ ও ট্রলার যোগে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা উপভোগ করেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মেয়র তৃতীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় আটটি নৌকা অংশগ্রহণ করে। শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু (দপদপিয়া সেতু) থেকে কীর্তনখোলা ফেরিঘাট পর্যন্ত এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় প্রথমস্থান অধিকার করে হিজলার রফিক খানের নৌকা। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাদারীপুরের গৌতম ভক্তের নৌকা। তৃতীয় স্থান অধিকার করে মাদারীপুরের সুকুমার বাইনের নৌকা। চ্যাম্পিয়ন নৌকার মাঝি রফিক খানকে ৩০ হাজার টাকার পুরস্কার ও দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানকারীকে ১৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ পুরস্কার ও ৩টি ১৭ ইঞ্চি রঙ্গিন টেলিভিশন উপহার দেয়া হয়। সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বিশিষ্ট সমাজসেবক মেয়র পত্নী জেবুন্নেছা আফরোজ, নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার প্রধান সমন্বয়কারী কাউন্সিলর রউফুল ইসলাম নোমান সহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। পুরস্কার ছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী ৮টি নৌকার প্রত্যেক সর্দারকে নগদ ১৫ হাজার টাকা করে যাতায়াত খরচ প্রদান করা হয়। এবারের নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে মাঝি মাল্লারা যোগদান করেন।