আগৈলঝাড়ার স্কুল শিক্ষিকা শারমিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগৈলঝাড়ার স্কুল শিক্ষিকা শারমিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে নিহত শারমিনের গৈলা গ্রামের মামা বাড়িতে দিনব্যাপী কোরানখানি ও দোয়া-মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। একইদিন বিকেলে নিহত শারমিনের কর্মস্থল উপজেলার পূর্ব সূজনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুরুপ কর্মসূচী পালনের আয়োজন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে শারমিন হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছে একমাত্র আত্মস্বীকৃত ঘাতক আবুলের পরিবার।

উল্লেখ্য, আাগৈলঝাড়া উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সরদার শাহজাহানের কন্যা ও সেনা সদস্য জসীম উদ্দিন সোহেলের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী পূর্ব সূজনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার সুমুকে গত বছরের ১২ অক্টোবর স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে গৈলা বাজারের পশ্চিম পাশে বসে ছুড়িকাঘাত করে গৈলার শিহিপাশা গ্রামের আকু চৌকিদারের বখাটে পুত্র সিরাজুল ইসলাম ওরফে আবুল গোমস্তা। বখাটে আবুল দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষিকা শারমিনকে যৌণ হয়রানি করে আসছিলো। মুর্মুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা শারমিনকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একইদিন বিকেলে স্থানীয়রা ঘাতক আবুলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় শারমিনের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আগৈলঝাড়া উপজেলাসহ জেলার সর্বত্র শিক্ষক ও জনগনের আন্দোলনের মুখে জেলা আইন শৃংখলার সভায় শারমিন হত্যা মামলাটি আলোচিত মামলা হিসেবে গ্রহন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মনিটরিং করেছিল। আগৈলঝাড়া থানার এসআই আলী আহম্মদ একই বছর ২৬ ডিসেম্বর হত্যাকান্ডের ৭৪ দিন পর একমাত্র ঘাতক আবুলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। শারমিন হত্যার ১’শ ৭৭ দিনের মধ্যে গতবছর ৯ এপ্রিল বরিশাল জেলা দায়রা জজ একেএম সলিমুল্লাহর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন কাবুল এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোঃ সামস উদ্দিনের যুক্তি তর্ক শেষে শারমিনের একমাত্র ঘাতক আবুলের উপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালতে আলোচিত শারমিন হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র ঘাতক আবুলের ফাঁসির আদেশ দেন। তিনি তার রায়ে আরও বলেন, দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ৭ কার্য দিবসের মধ্যে উচ্চআদালতে আপিল করার সুযোগ পাবে। অন্যথায় উক্ত আদালতের রায় বহাল থাকবে।

শারমিনের স্বামী সেনা সদস্য জসিম উদ্দিন সোহেল ও তার বাবার পরিবার আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও নিন্ম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবুলের পরিবার ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ১০ নং আদালতে আপিল করে। যার সিলিয়াল ১৭/২০১২।