বাঁচানো গেলোনা সাংবাদিক পুত্র নাঈম মিয়াকে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বোন ক্যান্সারের (হাঁড়ের ক্যান্সার) রোগ থেকে বাঁচানো গেলোনা বরিশালের গৌরনদী প্রেসক্লাবের সম্পাদক মোঃ আহছান উল্লাহর ছোট পুত্র মেধাবী ছাত্র ও জেলা পর্যায়ের ক্ষুদে ক্রিকেটারের নাঈম মিয়াকে (১৪)। পুত্রকে বাঁচাতে সকল সহয় সম্বল খুঁইয়েছেন সাংবাদিক আহছান উল্লাহ। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের কোলকাতা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান প্রফেসর নাঈম মিয়াঅনুপ মজুমদারের অধীনে নাঈমকে চিকিৎসা করানো হয়। সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে অবশেষে আজ রবিবার দুপুর দুই টা পনের মিনিটের সময় গৌরনদী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর পালরদী মহল্লার নিজ বাড়িতে মৃত্যুর কাছে হার মানে নাঈম। মৃত্যুকালে সে বাবা-মা, এক ভাই রেখে গেছেন। ওইদিন বাদ এশা তার জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে। সাংবাদিকের মেধাবী পুত্রের মৃত্যুতে পুরো বরিশাল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সাংবাদিক আহছান উল্লাহ জানান, গত আট মাস পূর্বে নাঈমের ডান পায়ে ব্যাথা অনুভব হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। গৌরনদী ও বরিশালের চিকিৎসকদের পর তাকে (নাঈমকে) ঢাকার ট্রমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কামরুজ্জামানের অধীনে নাঈমকে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে নাঈমের বোন ক্যান্সার রোগ ধরা পরে। চিকিৎসকদের পরামর্শে গত পাঁচ মাস পূর্বে নাঈমকে কোলকাতা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার বিভাগের প্রধান প্রফেসর অনুপ মজুমদারের কাছে নেয়া হয়। এজন্য সাংবাদিকের একমাত্র সহয় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে।

ভারতের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাঈমকে পুরোপুরি সুস্থ্য করতে হলে সম্পূর্ণ চিকিৎসা বাবদ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সাংবাদিক আহছান উল্লাহর পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পরায় শেষ পর্যন্ত একরকম বিনা চিকিৎসায়ই মৃত্যুর কাছে পরাস্থ হয় গৌরনদী সদরের আল-হেলাল একাডেমীর নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র মোঃ নাঈম মিয়া।

নাঈমের অকাল মৃত্যুতে গৌরনদী প্রেসক্লাব, আলোকিত সময়, অনলাইন গৌরনদী ডট কম-এর পরিবারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা গভীর শোক ও শোর্কাত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।


 

আমরা শোকাহত