বরিশালে নির্বাচনী আমেজে কোরবানীর ঈদ – মাঠে নামছে আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার কোরবানীর ঈদ উদযাপনে হাওয়া লেগেছে নির্বাচনী আমেজের। তত্ত্বাবধায়খ সরকার ইস্যুতে বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহন নিয়ে যখন শংসয় চলছে তখন ফাকা মাঠে গোল দিতে শাসক দল আওয়ামী লীগের ৩ নতুন প্রার্থী মাঠে নেমেছে। এদের মধ্যে দু’জন বরিশাল সদর আসন থেকে দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর জন সিটি মেয়র নির্বাচনের নিজ দলের মেয়রের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে নেমেছেন। প্রার্থীদের মধ্যে কিছু দিন আগে দলের মনোনয় পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মাঠে নামেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মশিউর রহমান খান। তিনি প্রকাশ্যেই বক্তৃতায় তার ইচছা ব্যক্ত করার পাশাপাশি দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন নেতা-কর্মীর বহর নিয়ে। কর্মী সমর্থকদের পিছনে টাকাও খরচ করতে শুরু করেছেন।

অপর সম্ভব্য প্রার্থী বরিশাল চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের লোক হলেও নিজে কখনো প্রকাশ্যে দলের পক্ষে তেমন মিছিল-মিটিং করেননি। সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সাথে ঘনিষ্টতার কারনেই তার আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘ দিনে উঠা বসা। এক পর্যায়ে লঞ্চ ব্যবসার চেয়েও তার কাছে প্রিয় হয়ে উঠে সামাজিক কর্মকান্ড। দীর্ঘ দিন ধরে সম্ভব্য প্রার্থী হিসাবে তাকে গুঞ্জন উঠলেও তিনি তা অস্বীকার করে জোরালো প্রতিবাদ করেছেন। কিন্ত মশিউর রহমান খান মাঠে নামার পর এবার সাইদুর রহমান রিন্টু ঈদ শুভেচ্ছার রঙিন বাহারী পোষ্টার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় উঠে। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিদেশ সফর করার পাশাপাশি এফবিসিসিআই সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাথে গভীর সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন। মন্ত্রী – এমপি সহ প্রভাবশালীদের পিছনে অঢেল টাকা খরচ করেছেন এ লঞ্চ ব্যবসায়ী। নগরীতে পোষ্টার লাগানোর পর সাইদুর রহমান রিন্টু গতকাল চরমোনাই দরবার শরীফে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করে আনুষ্ঠানিক প্রচারনায় নামেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। দলের এ সূত্রটি জানায় সাইদুর রহমান রিন্টু দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে প্রায় অর্ধশত দলীয় – নেতা-কর্মী নিয়ে পীর সাহেবের বাড়িতে মধ্যহৃ ভোজে অংশ নেন। এরপর মরহুম পীর সাহেবের কবর জেয়ারত করে নামেন আনুষ্ঠানিক প্রচারনায়। যদিও সাইদুর রহমান রিন্টু প্রচারনার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঈদ শুভেচ্ছার পোষ্টার লাগানোর জন্যই তিনি চরমোনাই গিয়েছিলেন। সেখানে দুপুরের খাবার পর পোষ্টার লাগানোর জন্য কয়েকটি এলাকায় ঘুরেছেন। গ্রামগঞ্জে রিন্টু প্রচারনার প্রথম দিনেই ব্যাপক সারা পেয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

সদর আসনের সংসদ সদস্য পদের মনোনয়ন নিয়ে যখন আওয়ামী লীগের নতুন মুখের এই দু’প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তখন সিটির মেয়রের নির্বাচনে নিজ দলের মেয়রের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে মাঠে নামছেন মহানগর যুগলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন। গতকাল শনিবার তিনি প্রার্থী হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান-দীর্ঘ দিন যাবত বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক হিসাবে কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি হিসাবে একটি নির্বাচন করার অনুমতি দলের কাছে চাইতেই পারি। তবে দলের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে মামুনের সংশয় রয়েছে। রাজনৈতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে মামুন দলের বিরুদ্ধেই শক্তিশালী প্রার্থী হয়ে মাঠে নামতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে এলে মামুন ভোটের অংকে তেমন একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তখন আওয়ামী লীগের ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই মুল লড়াই হবে।