নগরীতে শিশু চোর আতংক! অভিভাবকরা মহা দুঃশ্চিন্তায়

এম.মিরাজ হোসাইন, বরিশাল ॥ বরিশাল নগরীতে শিশু চোর আতংকে অভিভাবকরা মহা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে নগরীর নতুন বাজার, কাউনিয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় শিশু চোর আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কে বা কারা রটিয়ে দেয় নতুন বাজার এলাকায় একটি বাচ্চার মাথার অংশ দেখা গেছে। এ সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শিশু সন্তানের অভিভাবকরা কাজকর্ম ফেলে সন্তানদের দিয়ে বাসায় অবস্থান করে। গত সপ্তাহে কাউনিয়া এলাকার ৫ বছর বয়সী থেকে ১১/১২ বছর বয়সী কোনো শিশু সন্তানকে তার পিতা-মাতা স্কুলে যেতে দেয়নি। এমনকি বাসার সামনে পর্যন্ত খেলা-ধুলা করতে বারন করা হচ্ছে।

কাউনিয়া খাঁ বাড়ীর বাসিন্দা সালমা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি তার কাছে এসে পানি চায়। তার ৭ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রেখে ভয়ে না গিয়ে পার্শ্ববর্তী বাসা থেকে একজনকে পানি আনতে বললে পানি চাওয়া ব্যক্তি পালিয়ে যায়। শিশু চোর আতংক যেনো পুরো কাউনিয়া জুড়ে। এলাকার অলিগলি- চায়ের দোকান সহ সর্বত্র শোনা যাচ্ছে শিশু চোর দেখা গেছে। শিশু চোর আতংক দেখা দেয়ায় এ এলাকার কেউ কেউ সন্তান নিয়ে অন্যত্র আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  গতকাল নগরীর বেলতলা এলাকায় শিশু চোর সন্দেহে খোদ কাউনিয়া বেগের বাড়ি এলাকার আলী আহম্মেদ আটক হওয়ার পর কাউনিয়া এলাকার অভিভাবকরা সন্তান নিয়ে মহা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।

জানা গেছে গতকাল বেলতলা এলাকার ব্রীজ সংলগ্ন মন্টু মিয়ার বসত ঘরে ঢুকে তার ৬ বছরের শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যেতে নানান প্রলোভন দেখায় আলী আহম্মেদ। এসময় মিন্টু মিয়ার ভাগ্নে অপুর সন্দেহ হলে সে ডাক চিৎকার দেয়। এতে স্থানীয়রা ছুটে এসে আলী আহম্মেদকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে প্রায় ১৫ হাজার টাকা, একটি ছুরি ও ঔষধ পাওয়া যায়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সংবাদ পেয়ে কাউনিয়া এলাকার একাধিক ব্যক্তি ফোন করে নানান তথ্য জানতে চায়। এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কাউনিয়া এলাকায় কে বা কারা এসব গুজব ছড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আটককৃত আলী আহম্মেদ একজন ভিক্ষুক তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।