ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে সভাপতি হতে চান আ’লীগ নেতা শহিদুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সময়ে এলাকার নানা অপকর্মে সাথে জরিত শহিদুল এখন আ’লীগ নেতা। তাই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে রাতারাতি বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার বিহারীলাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে চান তিনি। স্কুলের অভিভাবক সদস্য থেকে সাধারন জনতা সেচ্ছাচারি উপজেলা আ’লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলামের এহেন আচরন দেখে অনেটাই হতবাক। তবুও নাছোরবান্দা শহিদুল কিছুতেই যেন সভাপতির পদটি ছাড়তে নারাজ। তার এই অপকর্মের সহায়তা করছে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র বাড়ৈ বলে অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে। কারন অনুসন্ধানে

ইলুহার বিহারীলাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাধারন অভিবাবকদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, কেন তার এই সভাপতির পদটি আগলে রাখার চেষ্টা। সভাবত কারনেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় “ঢাল মে কুচ কালা হে”। কারন তার সভাপতির পদটি চলেগেলে দীর্ঘ দিনের স্কুল সংক্রান্ত অপকর্মের নথি পত্র অনেকটা বেহাত হয়ে যাবে। তাই পূর্ব থেকেই বিষয়টি আচ করতে পেরে সভাপতির পদ না ছাড়ার মিশনে নামেন শহিদুল। বিষয়টি ইতিমধ্যে অভিভাবক কমিটির সদস্যরা লিখিত আকারে বরিশাল বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর জানিয়েছেন।  

স্কুলটির অভিভাবক সদস্য সূত্র আরো জানায়, শহিদুল ইসলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে এলাকার একাধিক সাধারন মানুষের ক্ষতি করেছে। সেচ্ছাচারি শহিদুল এরপূর্বেও অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে বিদ্যালয়টির সভাপতি হন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়ে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি কম্পিউটার ক্রয় বাবদ টাকা, শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতি ও স্কুল উন্নয়নে সরকারি অনুদান আত্মসাতের করেছে।

জানাগেছে, দূর্নীতিবাজ শহিদুল ইসলাম তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে অভিভাবক সদস্যদের। দূর্নীতিবাজ শহিদের হাত থেকে স্কুলটিকে বাঁচাতে নবনির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো: কালাম,মো: শাহিন মিয়া,সংরক্ষিত মহিলা অভিবাবক শিউলী সুলতানা ও বাবুল সিকদারসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগন সভাপতি হিসেবে সৎ ও দানবীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনিমেষ সরকার নয়নকে দেখতে চান।

এব্যপারে এলাকার দানবীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনিমেষ সরকার নয়ন বলেন, ইলুহার বিহারীলাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে শহিদুল ইসলাম’র গ্রহনযোগ্যতা থাকলে তিনি এমপি’র ডিউলেটার আনতেন না।