আগৈলঝাড়ায় পূজার চাউল কালোবাজারে বিক্রি – ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত পূজামন্ডপীরা

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতা ॥ আগৈলঝাড়ায় পূজায় বরাদ্দের সরকারী চাউল কালোবাজারে বিক্রি করায় ন্যায্য বাজারমূল্য থেকে প্রতারিত হয়েছে পূজামন্ডপীরা। মধ্যস্বত্বভোগী হয়েছে ছাত্রলীগ। পূজামন্ডপীদের মাঝে ক্ষোভ।

বিশস্তসূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১শ ৪২টি পূজা মন্ডপের জন্য সরকারী অনুদান হিসেবে ৫৬ টন ৮শ’ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। প্রতি মন্ডপের জন্য ৪শ’ কেজি করে আলাদাভাবে বরাদ্দ দেয় প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা। বরাদ্দকৃত চাউল মন্ডপীদের নামে আলাদা আলাদা বরাদ্দ হলেও তারা বাহিরে বিক্রি না করে স্থানীয় চাল ক্রয়ের সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় প্রতি টন চাউল ১৬হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও আগৈলঝাড়ায় সিন্ডিকেটের কারণে মন্ডপী সিপিসিদের বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে মাত্র ১৫হাজার ২শ’ টাকায়। ১৬হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে তারা ৬ হাজার ৪শ’ টাকা প্রতি মন্ডপ পেত। কিন্তু আগৈলঝাড়ায় সিন্ডিকেটের কারণে ১৫হাজার ২শ’ টাকা দরে প্রতি মন্ডপে ৬হাজার ৮০টাকা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রতি মন্ডপে চাল বিক্রির ৬হাজার ৮০ টাকাও না দিয়ে ৫হাজার ৪শ’ টাকা করে দেয়া হয়েছে। তাদের ৬শ ৮০ টাকা কোথায়? ৬শ ৮০ টাকা হিসেবে ৯৬হাজার ৫শ ৬০ টাকার কোন হদিস নেই।

এদিকে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান পুজার চালের কোন খরচ না নিলেও মন্ডপ প্রতি ৫হাজার ৪শ’ টাকা থেকে ছাত্রলীগ ৩শ টাকা করে ৪২হাজার ৬শ টাকা রেখে দিয়েছে বলে বিভিন্ন পূজামন্ডপের সভাপতি-সম্পাদকরা অভিযোগ করেছেন। ওই টাকা থেকে শনিবার রাতে ইতো মধ্যেই ৩০হাজার টাকা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। বাকি ১২হাজার টাকা কোথায় এমন প্রশ্ন টাকা পাওয়া নেতা কর্মীদের। তবে উপজেলা সদরের হাতে গোনা কয়েকজন নেতা কর্মী ওই টাকা পাওয়ায় অন্যান্য নেতা কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ কম তার পরেও পুজার টাকায় ছাত্রলীগ ভাগ বসানোর ফলে পুজা উদ্যাপনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এব্যাপারে আগৈলঝাড়া কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুনীল বাড়ৈ সাংবাদিকদের মন্ডপ প্রতি ৬শ’ ৮০ টাকা কম দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই অতিরিক্ত টাকা উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপে খরচের জন্য রাখা হয়েছে।