কৃত্রিম মোটাতাজা গরুতে বরিশালের বাজার সয়লব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোরবানির গরুর হাটের শৌখিন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর গরু মোটা-তাজাকরণের ঔষধ খাইয়ে দেদারছে বাজারজাত করছেন। আর শৌখিন ক্রেতারা ওইসব মোটা-তাজা গরু ক্রয়ের জন্যই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। গত দু’দিনের ব্যবধানে বরিশালের গৌরনদীতে একটি গরু মারা গেছে ও আরেকটি গরু অসুস্থ্য হয়ে পরেছে। ঔষধের মাধ্যমে মোটার তাজা করন গরু ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে জবাই করা না হলে এমনিতেই মারা যায় বলে জানিয়েছেন নাসির হাওলাদার নামের এক কসাই। বুধবার বরিশালের বিভিন্ন কোরবানীর গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি হাটেই মোটা তাজা করন গরুর চাহিদা অনেকাংশে বেশি।  

গৌরনদীর দিয়াশুর গ্রামের গরুর খামারী জামাল উদ্দিন জানান, এটি একটি জঘন্যতম কাজ। মোটা-তাজাকরনের ঔষধ সেবনে গরু দেখতে মোটা হয় ঠিকই। গরুর শরীরে চামড়ার নিচে পানি জমে ফুলে যায় কিংবা চর্বি বেড়ে যায়। ওই ঔষধে গরুর মুখমণ্ডল ফুলে গেলেও আসলে মাংস একটুও বাড়ে না। এটা এক ধরনের প্রতারণা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আল-বারাকা গরুর ফার্মের মালিক আমিনুল ইসলাম তোতা জানান, কোন কোন ব্যাবসায়ীরা গরুকে ইউরিয়া সার খাইয়ে গরুকে মোটা তাজা করে থাকেন।

উপজেলার ব্র্যাক পশু প্রকল্পের চিকিৎসক ডাঃ কাসেম জানান, ইউরিয়া সার কেমিক্যাল জাতীয়। যেকোন কেমিক্যাল ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তিনি মোটা-তাজাকরণ সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন।