শিশু গ্লাডিয়েটর, বাংলাদেশী শিশু

এই উট দৌড়ের জন্য প্রয়োজন হয় নাবালক শিশুর। হিসাবটা খুব সোজা, জকির ওজন যত কম দৌড়ের মাঠে জয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। ঘোড়ার রেসকোর্সে এ জন্যেই হাল্কা পাতলা জকিদের কদর বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের যেহেতু টাকা বেশি তাদের পছন্দের ক্যানভাসও তত বিশাল। মরুভূমির তপ্ত বালুতে পিঠে নাবালক শিশু চাপিয়ে ছুটতে বাধ্য করে তাদের প্রিয় পশুর দলকে।

গ্লাডিয়েটরদের নিয়ে রোমানরা যে কায়দায় আমুদ আহলাদ করত একই ভাবে শেখরাও আনন্দ করে শিশু জকিদের নিয়ে। সমস্যা হচ্ছে, যে সব বাচ্চারা উটের পিঠে বসে থাকে তাদের কেউই তাদের নিজস্ব নয়। ওদের আনা হয় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ হতে। টাকা দিয়ে অপরহণ করা হয় শিশুদের। মানবেতর জীবনের পাশাপাশি ওদের ব্যবহার করা হয় দাস হিসাবে। ব্যবহার করা হয় ভোগের সামগ্রী হিসাবে।

 

৮৬০ জন বাংলাদেশী শিশু-দাসের মূল্য দিতে ওরা এসেছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আরাম কেদারায় বসে ডিল করে ফেরৎ গেছে বিজয়ীর বেশে। মূল্য দিয়ে গেছে মাথাপিছু ১ হতে ১০ হাজার ইউ এস ডলার! আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এ জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমিরাতের শিশু ধর্ষণকারী দলের নেতা লে কর্নেল ইব্রাহিম আল মারজুকিকে।

সুত্রঃ
http://www.ansarburney.org/videolinks/video-hbo1.html
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=129242

Writer: WarchDog – AmiBangladeshi.org