নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের ভরতকাঠি গ্রামে সেনা সদস্য’র বাড়িতে লুটপাটের তান্ডব, আহত-৩

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ নলছিটির দপদপিয়া ইউনিয়নের ভরতকাঠি গ্রামের শামসুল হক বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট শান্তিপ্রিয় নারী-পুরুষ। পাশাপাশি তার ছেলে মহিনের ইভটিজিংয়ের আতংকে স্কুল কলেজগামী পড়ুয়া মেয়েরা। ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই বাহিনী। ঈদে ছুটিতে আসা এক সেনা সদস্য’র বাড়িতে হামলা লুটপাট চালিয়ে পরিবারের সকলকে আক্রমন করেছে। হামলার শিকার পরিবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রশ্ন উঠেছে কোন অদৃশ্য শক্তিতে মহিন এবং তার পিতা শামসুল হক একের পর এক অপকর্ম করে রয়েছে বহাল তবিয়তে। মুহিন আর পিতা শামসুলের সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যে রয়েছে ভরতকাঠির শাহিন, নান্নু, মন্নাফ, বাচ্ছু, রাসেল, সুলতান, মানিক হাওলাদার, রাজিব ও জসিম হাওলাদার উত্তর জুরকাঠির রাসেল খান, মামুন হাওলাদার, ইমরান। স্থানীয়রা জানায়, এদের বিরুদ্ধে এলাকায় রয়েছে অন্তহীন অভিযোগ।

সূত্র জানায়, ২৭ অক্টোবার ঈদের দিন সকালে শিমুলতলা বাজারে বসে সেনা সদস্য মনির হাওলাদারকে লাঞ্চিত করে মহিন ও তার সহযোগীরা। পরে বিষয়টি গন্যমান্যরা মিমাংসাও  করে দেয়। কিন্তু মিমাংসার পর একই দিন দুপুরে মহিন,শামসুল হক দলবল নিয়ে জুরকাঠি এলাকার সেনা সদস্য মনিরের বাবা হাকিম হাওলাদারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লুটপাটের তান্ডবলীলা চালানো হয়। একই সঙ্গে বেধম মারধর করা হয় সেনা সদস্য মনির হাওলাদার(২৩) এবং তার পরিবারের সদস্যদের। খবর পেয়ে র‌্যাব-পুলিশ ঘটনান্থলে গিয়ে মনির পরিবারকে উদ্ধার করে। সেনা সদস্য মনির এবং তার মা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় নলছিটি থানায় ২৮ অক্টোবর হাকিম হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জিআর ২৫/১২। অপরদিকে মিথ্যা মামলা করার পায়তারায় হামলাকারীদের মধ্যে শামসুল হক ও বাচ্ছু নিজেরা নাটক সাজিয়ে বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে।

এদিকে, মহিন, শামসুল হক ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন শান্তিপ্রিয়রা।