এইচ এম হাসিব (রুমান) এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ সাংবাদিক এইচ.এম.এস আলীর ছোট ছেলে, গৌরনদী প্রথম আলো বন্ধু সভার সদস্য, উদিয়মান ক্রিকেটার এইচ,এম হাসিব (রুমান) এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী ১লা নভেম্বর।

এইচ,এম হাসিব (রুমান)বিদ্যুৎ কেড়ে নিয়েছে প্রানচ্ছল তরুনের। অসময়ে রুমনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়েগেছে তার বন্ধুরা। অন্ধকার নেমে এসেছে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের মাঝে। গৌরনদীতে ১৬ ডিসেম্বরে ড্রাম বাদকে যার নাম ছিল প্রথম সারিতে, স্কাউটে জিতে ছিল কয়েকটি ব্যাচ। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ আর্মিতে যোগদান করে দেশ ও দশের সেবা, সেভাবেই চলতে গিয়ে মাঝ পথে থেমে গেল সবকিছু, বিদ্যুৎ কেড়ে নিল তার স্বপ্ন। রুমনের এভাবে তো চলে যাওয়ার কথা ছিলনা।

আজও রুমনের বাবা-মা কেঁদে কেঁদে ফিরে পেতে চায় তাদের প্রিয সন্তানকে। রুমন চলে গেছে না ফেরার দেশে কিন্তু তার বাবা-মাকে কেহ বুঝাতে পারেনা তার পক্ষে ফিরে আসা সম্ভব নয়। রুমন থাকলে হয়ত আজ থাকত সরকারি গৌরনদী কলেজের মাঠে কোন ক্রিকেট ম্যাচে অথবা বরিশালে সুযোগ পাওয়া ফুটবল লীগে। এমনকি রুমান সুযোগ পেয়েছিল ঢাকা ফুটবল ফেডারেশনের লীগে প্রশিক্ষন নেয়ার। সময় সুযোগ ও পড়াশুনার জন্যও যেতে পারেনি প্রশিক্ষন নিতে। এমনিতেও অনেক বড় বড় ফুটবল ম্যাচে অংশ গ্রহন করে বাবা মায়ের জন্য রেখে গেছে ট্রফী। আজ রুমন নেই কিন্তু বেঁচে আছে সবার হৃদয়ে। তার বাবা মা আজও জানে না তার সাথে কি কোন শত্রুতা হয়েছে নাকি নেহাত কোন দুর্ঘটনা। এর কারন আজও অজানা।

রুমনের প্রিয় বন্ধুরা আজও স্মরন করে ফিরে তাকায় রুমনের মতো এমন প্রানবন্ত বন্ধু জীবনে আসেনি, আসবে কিনা জানিনা। সে হাসতে জানতো, হাসাতে জানতো, রুমন এমন একটা ছেলে ছিল যে তাকে সবাই পছন্দ করত। খুব সহজ সরল ও সত্যবাদী ছিল সে। শান্ত-শিষ্ট দেখলেও যে কোন আড্ডায় রুমন সবাইকে মাতিয়ে রাখতো। বন্ধুর স্মৃতি চারন করে ওরা আজও বলে ভালো বন্ধু তাকেই বলা যায় কাছ থেকে সবসময় পাওয়া যায় অনুপ্রেরনা-সহযোগিতা-সহমর্মিতা। রুমনের কাছ থেকে তারা সবই পেয়েছে।

রুমনের পিতা-মাতা সকলের কাছে রুমনের জন্য দোয়া কামনা করেছেন। তার ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নিজ ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নিজ বাড়িতে মিলাদ, কোরআন তেলওয়াত ও শুক্রবার মসজিদে দোওয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।