লেবাননে সড়ক দুর্ঘটনায় ও মালয়েশিয়ায় ছাঁদ থেকে পরে দু’প্রবাসীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ লেবাননে সড়ক দুর্ঘটনায় ও মালয়েশিয়ায় ছাঁদ থেকে পরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দু’প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এরমধ্যে লেবাননে নিহত মহিলা শ্রমিকের লাশ বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হলেও মালয়েশিয়ায় নিহত যুবকের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের লোকজন সরকারের সহযোগীতা চেয়েছেন।

জানা গেছে, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের ক্যালাম এলাকার বান্দারটেক নামকস্থানের নির্মানাধীন ভবনের ছাঁদ থেকে পরে গত ৩১ অক্টোবর রাতে মৃত্যুবরন করেছে গৌরনদীর আশোকাঠী গ্রামের জুলহাস সরদার (২৭) নামের এক যুবক। এছাড়া গত ২ অক্টোবর লেবাননে সড়ক দুর্ঘটনায় গৌরনদীর পূর্ব গরঙ্গল গ্রামের জোসনা বেগম (৩০) নামের অপর এক মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ৪ সন্তানের জননী নিহত জোসনা ওই গ্রামের দিনমজুর নুর ইসলাম খানের স্ত্রী। গত ১ নবেম্বর সন্ধ্যায় জোসনার লাশ তার স্বামীর বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। ওইদিনই তার লাশ দাফন করা হয়। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ১০ মাস আগে জোসনা লেবানন গিয়েছিলের। অপরদিকে ছাঁদ থেকে পরে নিহত জুলহাস আশোকাঠী গ্রামের মোঃ আজাহার আলী সরদারের পুত্র। ২০০৬ সনের শেষের দিকে জুলহাস সরদার মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। ৪ বছর পর দেশে ফিরে সর্বশেষ গত ১ বছর পূর্বে জুলহাস পূর্ণরায় কর্মস্থল মালয়েশিয়ায় যায়। জুলহাস পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলো। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের ক্যালাম এলাকার বান্দারটেক নামকস্থানের নির্মানাধীন ভবনের ছাঁদে কাজ করতে গিয়ে গত ৩০ অক্টোবর বিকেলে জুলহাস অসাবধানতাবশত নিচে পরে যায়। তার সহযোগীরা মুর্মুর্ষ অবস্থায় তাৎক্ষনিক তাকে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ অক্টোবর রাতে জুলহাস মৃত্যুবরন করে। জুলহাসের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে তার পরিবারের লোকজন মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।