পটুয়াখালীতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর আ’লীগের হামলায় আহত ১০ – সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনতাই

পটুয়াখালী সংবাদদাতা ॥ পটুয়াখালীতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর অওয়ামীলীগ ক্যাডারদের হামলায় যুবদলের কমপক্ষে ১০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে অওয়ামীক্যাডারা একাধিক সাংবাদিকে লাঞ্চিত করে ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। ঘটনা স্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে লঠিচার্য করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের দারুচিনি রেস্তোরায় এর সামনে এ হমালার ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নিরব ব্যক্তিগত সফরে পটুয়াখালী কুয়াকাটা আসেন। কুয়াকাটা থেকে ঢাকা ফেরার পথে পটুয়াখালীতে শহরের দারুচিনি রেস্তোরায় সকালে নাস্তা করতে গেলে জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন । এ সময় জেলা যুবদলের কয়েক শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে অতর্কিত ভাবে অওয়ামী ক্যাডাররা যুবদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও দারুচিনি রেস্তোরার গ্লাস ভাংচুর করে। হামলায় যুবদলের কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা ঐ স্থান ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান। এদিকে এ হামলার ছবি তুলতে গেলে দৈনিক দিনকালের মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি মো: বাদল হোসেনকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে ও তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারা।

জেলা যুবদলের জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি জানান, সকালে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দারুচিনি রেস্তোরায় গেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ছোট ছেলে  আরিফুজ্জামান রনি ও জেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশত আওয়ামী ক্যাডারা যুবদলের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান,‘পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে।