জেলা পুলিশের মটরযান শাখায় সম্প্রতি নিয়োগ বানিজ্যে পুলিশ সুপারের সম্পৃক্ততা

বরিশাল সংবাদদাতা ॥ বরিশাল জেলা পুলিশের মটরযান শাখায় সম্প্রতি নিয়োগ বানিজ্যে পুলিশ সুপারের সম্পৃক্ততার বিষয়ে মুখ খুললেন সংশ্লিষ্ট শাখার প্রধান। তবে মটরযান শাখার প্রধান মহিতোষের দূর্নীতি অনুসন্ধানকালে সংবাদ কর্মীদের কাছে তিনি এ তথ্য ফাঁস করলেন। যদিও এঘটনার পূর্বেই মহিতোষের দূর্নীতির খতিয়ান ধড়াপরে সংবাদকর্মীদের চোখে।

চাঁদাবাজী নয় এবার জেলা পুলিশের আমর্ড এসআই মহিতোষ’র বিরুদ্ধে সুদ বানিজ্যের অভিযোগ উঠলো। এক সময়ে জেলার দাপুটে এসপি মাহাবুবের আমলে অনেকটা তেল তদবির দিয়ে এসআই (এবি) মহিতোষ নিজেকে জেলা পুলিশের  ওসিএমটি’র (মটরযান শাখা) কর্মকর্তা পদে নিয়ে আসেন। আর এখান থেকেই তার অপকর্মের নয়া মেরুকরন শুরু। জেলা পুলিশের মটোরযান শাখার প্রধান হিসেবে মটরযান সংস্কারে কোন ঠিকাদার নিয়োগ না করে নিজের পছন্দ মাফিক লোক দিয়ে কাজ করান এবং সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে নেন বলে জানা গেছে।

এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, গাড়ির কোন সংস্কার মুলক কাজ করানো হয়নি তার বিপরিতে বিল তোলেন এই মহিতোষ। বর্তমানে তার ১০% সুদ বানিজ্য চলছে রমরমাভাব। তিনি কৌশলে জেলা পুলিশের মধ্যে এই সুদ বানিজ্যের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কাছ থেকে সুদে যারা টাকা নিয়ে থাকেন তাদেরকে মুনাফা নেয়ার পুর্বেই সুদের টাকা গুনতে হয়। যেমন কোন একজন ১০ হাজার টাকা নিলে তার কাছ থেকে প্রথমেই সুদের টাকা রেখে ৯ হাজার টাকা দেয়া হয়। বর্তমানে বিষয়টি জেলা পুলিশের মাঝে অনেকটাই ওপেন সিক্রেট হয়ে যাওয়ায় মহিতোষ নিজেকে পর্দার আড়ালে রেখে তার অনুসারী দিয়ে এ সুদ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে জেলা পুলিশের ড্রাইভার ও সহকারী ড্রাইভার পদে কেউ নিয়োগ পেতে হলে তাকে ওসিএমটি মহিতোষকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। এযাবৎ তিনি অসংখ্য পুলিশের কাছ থেকে এই টাকা আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। তার মধ্যে বেশ কয়েক জনকে তিনি মটরযান শাখায় বদলী  করতে না পারলেও ভবিষ্যতে করে দেবেন বলে তাদের জামানতের টাকা রেখে দিচ্ছেন। আর এই টাকাই মহিতোষের সুদের মূলধণ। সম্প্রতি মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হয়েও কনষ্টোবল নং ১১৭০-তাপসকে তিনি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মটরযান শাখায় ড্রাইভার পদে নিয়োগ দেন বলে জানা গেছে। তার এহেন অপকর্মের সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেছেন জেলা পুলিশের একাধিক পুলিশ সদস্য।

এ ব্যপারে ওসিএমটি মহিতোষ জানান, সম্প্রতি মাঠ পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হওয়ার পরও কনষ্টোবল তাপসকে সাহেবকে (পুলিশ সুপার) ম্যানেজ করে এমটি (মটরযান শাখা) শাখায় আসে। এর জন্য আমি দায়ী নই।