এক মাস ধরে গৌরনদীতে নতুন অতিথি – খাদ্য সঙ্কটে দলছুট কালোমুখা হনুমান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্য সঙ্কটে গত এক মাস ধরে লেজসহ প্রায় ৫ ফুট দীর্ঘ বিরল প্রজাতির কালোমুখা একটি হনুমান বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার টরকী বন্দরের অতিথি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বন্দরের দোকানের চালে আর বাসা বাড়ির ছাঁদে ঘুরে বেড়ানো কালোমুখা হনুমানটি একনজর দেখার জন্য প্রতিনিয়ত সকল বয়সের শত শত উৎসুক জনতার ভীড় নামে।

এক মাস ধরে গৌরনদীতে নতুন অতিথি - খাদ্য সঙ্কটে দলছুট কালোমুখা হনুমানসরেজমিনে দেখা গেছে, খাবারের জন্য ওর আকুতির যেন শেষ নেই। ইচ্ছে করে কেউ খাবার দিলে তা সাদরেই গ্রহন করে নিচ্ছে। কখনোই মাটিতে নামেনা এ কালোমুখা হনুমানটি। হামলার ভয়ে বেশিরভাগ সময়ই খাবার না পেলেও দোকানের চালায় কিংবা বাড়ির ছাঁদে আশ্রয় নিয়ে কোনমতে প্রাণে বেঁচে আছে টরকী বন্দরের এ অতিথি। টরকী বন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে এ কালোমুখা হনুমানটি এখন প্রতিদিনের অতিথি হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দেয়ার সাথে সাথেই দোকানের চালার নিচপ্রান্তে এসে হাত থেকে গ্রহন করে নিয়েই তা খেয়ে দিনাতিপাত করছে দলছুট কালোমুখা হনুমানটি। এরপূর্বে বিভিন্ন সময় দলছুট হয়ে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড, বন্দর ও আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরসহ পয়সারহাট এলাকায় দলছুট কালোমুখা হনুমানদের পদচারণা দেখা গেছে। তবে ওইসবস্থানে ৪/৫ দিনের বেশি সময় এদের দেখা না গেলেও টরকী বন্দর এলাকার এ হনুমানটি একইস্থানে দীর্ঘ একমাস ধরে অবস্থান করছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খাদ্যের অভাবে এ কালোমুখা হনুমানটি গত একমাস পূর্বে যশোর থেকে ফলের ট্রাকে চড়ে টরকী বন্দর এলাকায় আসে। বন্দরের ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান, শেখর বণিকসহ অনেকেই জানান, খাদ্য সঙ্কটে হারিয়ে যাওয়া বিরল প্রজাতির হনুমানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারিভাবে সঠিক উদ্যোগ গ্রহন করা জরুরি হয়ে পরেছে। নতুবা খাদ্য অন্বেষণে চলে আসা কালোমুখা হনুমানগুলো আর ওদের আবাসস্থানে ফিরে যেতে পারবেনা। ফলে নানা প্রতিকূল পরিবেশে তারা মারা পরে যাবে।