বরিশালে যুবলীগ নেত্রীর চেম্বার থেকে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার ॥ ৪ অপহরনকারী আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ী এলাকায় মহিলা যুবলীগ নেত্রী এ্যাডভোকেট মঞ্জুয়ার বেগমের চেম্বার থেকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে তালাকের নামে টাকা আদায়কারী একটি প্রতারক চক্রের অপহরন করা অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় যুবতীসহ তিন অপহরনকারীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এই উদ্ধার ও আটক অভিযান চালানো হয়েছে বলে গতকাল শনিবার দুপুরে র‌্যাব-৮ এর কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

সূত্রমতে, উদ্ধার হওয়া অপহৃত আনোয়ার হোসেন (৩৬) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার দক্ষিন চর বিশ্বাস গ্রামের মৃত হামিদ হাওলাদারের পুত্র। আটক হওয়া অপহরনকারীরা হচ্ছে একই জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার পশুরবুনিয়া গ্রামের মৃত হোসেন মুন্সির কন্যা পলি আক্তার (১৯), দুমকি উপজেলার ইউনুছ শরীফের পুত্র মিজানুর রহমান, পিরোজপুরের সদর থানার মাছিমপুর গ্রামের কালীপদ দাসের পুত্র বিশ্বজিত দাস ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর নারায়নগোল গ্রামের মৃত সুবান গাজীর পুত্র মাসুদ গাজী। আটকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। এই চক্রের নারী সদস্য টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে প্রেম অভিনয় করা হয়। পরে ওই ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে কথিত বিয়ের নামে কাবিননামা তৈরী করা হয়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে বাধ্য করা হয় প্রতারক কথিত স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য। বিনিময়ে কাবিননামা বাবদ টাকা আদায় করা হয় বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে। চক্রটি কাবিননামার দেড় লাখ টাকার জন্য আনোয়ারকে চাপ প্রয়োগ করে। সেই টাকা না দেওয়ায় তাকে অপহরন করে মহিলা যুবলীগের বরিশাল মহানগর শাখার সভানেত্রী এ্যাডভোকেট মঞ্জুয়ারার নগরীর ফকিরবাড়ী রাখালবাবুর পুকুরপাড়ের চেম্বারে আনোয়ারকে অবরুদ্ধ রেখে মুক্তিপন চায়। এ খবরের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর একটি দল সেখানে অভিযান চালা। র‌্যাবের দলটি চেম্বারে পৌছলে পালানোর সময় চার অপহরকারীকে আটক করা হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরনকারীরা স্বীকার করেছে, আনোয়ারকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে পরিবারের সদস্যদের দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে এসে অপহৃত আনোয়ারকে মুক্ত করার জন্য বলা হয়। এই ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।