উজিরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্তক্ত করা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

উজিরপুর সংবাদদাতা ॥ উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে উত্তক্ত করার প্রতিবাদ করায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ নভেম্বর সোমবার দুপুরে, আহত ৩জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ৭জন উজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা গেছে, ঐ গ্রামের ছত্তার ঘরামীর বখাটে পুত্র সবুজ ঘরামী একই গ্রামের মোখলেচ হাওলাদারের কন্যা মাদ্রাসা আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্রী সুমী আক্তার (১৭) কে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাবার পথে ও মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসার পথে উত্তক্ত করত। গতকাল সকালে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে একটি আপোষ মিমাংশা করে দেয়। দুপুরের দিকে একই গ্রামের মন্নাত সন্যামতের ছেলে সন্ত্রাসী আমির সন্যামত মোবাইলে ফোন করে ছাত্রীর ভাই সবুজ হাওলাদার, সুজন হাওলাদার, সাইদুল ইসলাম হাওলাদার, সোহাগ হাওলাদারকে তার বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর আমিরের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এরপর আমিরের বাড়ি থেকে বের হয়ে ছত্তার ঘরামীর বাড়ির সামনে আসলে বখাটে সবুজ ঘরামী (কাবিলা), সুমন ঘরামী, ছত্তার ঘরামী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে কোপ ও পিটাতে শুরু করে। এ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সোহাগ হাওলাদার (২৮), সাইদুল ইসলাম (২০), সবুজ হাওলাদার (২৬), সুজন হাওলাদার (২০), শাওন হাওলাদার (২২), রবিউল হাওলাদার (২২), আক্তারুজ্জামান হাওলাদার (৩৫) ছাত্রীর পরিবারের পক্ষে আহত হয়।

এদিকে সোহেল ঘরামী (২০), রিজিয়া বেগম (৫০), ছত্তার ঘরামী (৫২) বখাটের পক্ষে আহত হয়। এরমধ্যে আশঙ্কা জনক সোহাগ হাওলাদার, সাইদুল ইসলাম হাওলাদার ও সোহেল হাওলাদারকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সাইদুল ইসলাম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাকীরা উজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উজিরপুর থানায় মামলা হয়নি, তবে প্রস্তুতি চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বখাটে সবুজ ঘরামী (কাবিলা) স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের উত্তক্ত করে। এর কারণে অনেক ছাত্রী স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিবাদ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সবুজের উত্তক্ততার কারণে এলাকাবাসী সব সময়ই আতঙ্কে থাকে।

উজিরপুর থানার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসেনি, তবে অভিযোগ আসলে  আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।