কুন্তকর্মের ঘুমের মধ্যে রয়েছে সেতু বিভাগ – অবৈধভাবে মাটি কাটায় হুমকির মুখে মেজর জলিল সেতু

মিজানুর রহমান মিজান, উজিরপুর ॥ বরিশালের উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর উপরে অবস্থিত মেজর এম এ জলিল (শিকারপুর) সেতুর নিচের পিলারের গোড়ার মাটি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছে ওরিয়েন্টাল ট্রেডিং এন্ড বিল্ডার্স লিঃ(ওটিবিএল) নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে এই সেতুটি। সেতুর নীচে নোঙ্গর করা হচ্ছে বড় বড় জাহাজ সেখান  থেকে মালামাল নামাচ্ছে ফেলুডারের মাধ্যমে। আর সেতুর স্লোভ ঘেষে মালামাল অন্যত্র আনা নেয়া হচ্ছে ভারী লড়ী ও ড্রাম ট্রাক এর মাধ্যমে। ফলে সেতুর রাস্তার পাইলিংটি নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে সেতু বিভাগের কোন ভুমিকা  না থাকার কারনে চলছে ফ্রি-স্টাইলে মাটি কাটা এবং ভারী যানবাহন চলাচল। সেতু বিভাগ যেন কুন্তকর্মের ঘুমের মধ্যে রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায় সেতুর পশ্চিম পাশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল ট্রেডিং এন্ড বিল্ডার্স লিঃ(ওটিবিএল) ঘাটি গেরে বিভিন্ন জায়গায় মালামাল বহন করছে। সেখানে তারা ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। জাহাজ থেকে বালু নামিয়ে তার সাথে কৌশলে সেতুর নিচ থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে অতিরিক্ত মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় যে কোন সময় ধসে যেতে পারে সেতুর মূল পিলার ও গাইড ওয়ালটি। কাউকে তোয়াক্কা না করে ওটিবিএল এর  প্রজেক্ট ম্যানেজার বাবুল সরদারের খাম খেয়ালীপনা করে মাটিকাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে  ওটিবিএল প্রজেক্টের নিকটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুনীল দাসের জমির মাটি জোর পূর্বক কেটে নিচ্ছে বাবুল সরদার বাধা দিতে আসলে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। গত শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকার কারনে সড়ক বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাশ্ববর্তী গৌরনদী থানার মাহিলারা ব্রীজের উত্তর পাশে রাস্তা থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ার সময় এলাকাবাসী লাঠিশোঠা ও ঝাড়–নিয়ে ধাওয়া করলে প্রতিষ্ঠানের লোকজন পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে প্রজেক্ট ম্যানেজারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমরা জাহাজ থেকে বালু উত্তোলন  করে সেতুর নিচে রাখি। সেখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র কাজের স্থলে নিয়ে যাই তবে তার সাথে কিছু মাটি যেতে পারে বলে স্বীকার করেন। তিনি আরো জানান সড়ক বিভাগের  কাছ থেকে লিজ নিয়ে আমরা সেতুর নিচের জমি ব্যবহার করছি। উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহম্মেদ জানান ব্রীজের নিচ থেকে মাটি কাটা ও ভারি যান বাহন চলাচল নিষিদ্ধ তাতে ব্রীজ ও রাস্তার ক্ষতি হতে পারে।