রাজাপুরের ৮ শহীদ পরিবারের সন্মাননা – আজ ওর মুখটা খুব বেশী ভেসে উঠছে!

ঝালকাঠি সংবাদদাতা ॥ ‘দেশ স্বাধীনের ৪১ বছর রাজাপুরের ৮ শহীদ পরিবার অশ্রুসজল চোখে সন্মাননা নিল। শহীদ পরিবারকে দেয়া সন্মাণনা পেয়ে খুশী ঐ পরিবার গুলো। সম্মননা গ্রহনের পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ৭১’র ২৩ নভেম্বর রাজাপুর মুক্ত দিনে সম্মুখ যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মুত্যুবরনকারি শহীদ আব্দুর রাজ্জাকের বৃদ্ধ মা আম্বিয়া খাতুন (৮৯)। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,  আজ শহীদ পরিবার হিসেবে সম্মাননা পেলাম। মনে হচ্ছে আমার ছেলে দেশের জন্য মৃত্যুবরন করলেও অনেক দিন পর আমরা সঠিক সম্মান পাচ্ছি। আজকের এই দিনে আমার বুকের ধন রাজ্জাক যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। ‘‘আজ ওর মুখটা খুব বেশি ভেসে উঠছে।’’

রাজাপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজাপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব চত্বরে ৮ শহীদ পরিবার ও ২ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মননা প্রদানসহ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে নয়টায় মুক্ত দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারদের সম্মননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস। প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল বারেক ফরাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আলম নান্নু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চন্দ্র শেখর হালদার ও  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু।

শহীদ আট পরিবারের সম্মনানা পেলেন যারা তারা হলেন শহীদ আব্দুর রাজ্জাক, শহীদ হোচেন আলী, শহীদ আবুল কালাম, শহীদ কেদারেশ্বর চক্রবর্তী. শহীদ হারুন অর রশিদ, শহীদ শশী ভূষণ বিশ্বাস, শহীদ চন্দ্র শেখর বিশ্বাস, শহীদ মোফাজ্জেল হোসেন মৃধা ও শহীদ আবুল হাসেম মিয়ার পরিবার। এছাড়া যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলী আজাদ ও ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ মিয়াকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।