আগৈলঝাড়া কাবিখা ও টিআরের খাদ্যশষ্য সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি প্রকল্পের কর্মকর্তারা লক্ষ লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত

আগৈলঝাড়ায় সরকারী খাদ্য প্রকল্পের প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যে ৫১৯ মে.টন খাদ্যশষ্য কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহায়তায় প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এ বিপুল পরিমাণ খাদ্যশষ্য সরকারী মূল্যের চেয়ে অর্ধেক র্মূল্যে বিক্রি করে দেয় বলে সচেতন মহল মনে করেন। অফিস ও নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানাগেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি অর্থবছরে টেস্ট রিলিফ ও বিশেষ টেস্ট  রিলিফ কর্মসূচির আওতায় ৫১৯ মে.টন খাদ্যশষ্যের বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব খাদ্যশষ্যের বিপরীতে প্রকল্পে তালিকা তৈরি করা হয়েছে ২৬৯ টি প্রকল্প। এসব প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক হয়নি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সরকারী নিয়মে প্রতি টন খাদ্যশষ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যশষ্য একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে প্রকল্পের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছ থেকে প্রতি টন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায় খাদ্যশষ্য বিক্রি করতে বাধ্য করে। আগৈলঝাড়ায় কাবিখা ১১৩ টি প্রকল্পের অনুকূলে ২৩৫ মে.টন ও টিআর ১৫৬টি প্রকল্পের অনুকূলে ২৮৪ মে.টন খাদ্যশষ্যের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের এই খাদ্যশষ্য সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অর্ধেক দামে কিনে ফায়দা লুটছেন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। এতে সহযোগিতা করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও খাদ্য গুদামের কতিপয় কর্মচারীরা। একটি সূত্র জানায় এই সিন্ডিকেট সরকারী নিয়মের চেয়ে অর্ধেক দামে খাদ্যশষ্য কিনে প্রকল্প অফিস সহ বিভিন্ন স্থানে তাদের টনপ্রতি উৎকোচ দিতে হয়। এ টাকা না দিলে খাদ্য গুদাম থেকে প্রকল্পের খাদ্যশষ্য বের করা সম্ভব হচ্ছে না। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা শচিন্দ্র নাথ বৈদ্য জানান,  সারা বাংলাদেশে কাবিখা খাদ্য শষ্য বিক্রিহচ্ছে তাই আগৈলঝাড়ায়ও একই রকম অবস্থা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস জানান, কাবিখার খাদ্যশষ্য বিক্রির কোন নিয়ম নেই। টিআরের খাদ্যশষ্য বিক্রি করার সরকারী নিয়ম রয়েছে। যেহেতু চাল বা গম কেহ নিতে চায় না তাই সবাই প্রকল্পের অনুকূলে খাদ্যশষ্য বিক্রি করে দেয়।