উজিরপুরে বুদ্ধী প্রতিবন্ধীকে ধর্ষন ও ২দিন পরে পুলিশের সহায়তায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের উজিরপুরে হারতা ইউনিয়নে বুদ্ধী প্রতিবন্ধী এক গৃহবধু (২০)কে ধর্ষণ করেছে ভাড়ায় চালিত মটোরসাইকেল ড্রাইভার  মোক্তার ফকির (২৮)। স্থানীয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিশ হাজার টাকায় সমঝোতা করার অভিযোগ। দুই দিন পরে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্বার করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ শে নভেম্বর রোববার রাত ৮ টায় কালবিলার বড়ইভিটা  নামক স্থানে। লম্পট মোক্তার ফকির পাশ্ববর্তী সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিন সাতলা গ্রামের আঃ করিম ফকিরের ছেলে। রোববার রাতেই ঘটানা জানাজানি হলে সোমবার সকালে সাতলা ও হারতা ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান ঘটনাটি থানা পুলিশকে না জানিয়ে ধর্ষকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে মিট মিমাংশা করে। স্থানীয়রা জানিয়েছে ধর্ষিতা বুদ্ধী প্রতিবন্ধী হওয়ায় একই ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামের আরেক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সঞ্জয় রায় (২৫) এর সাথে বিবাহ হয়। স্বামী ও স্ত্রী দু’জনে নাথারকান্দি থেকে কালবিলা বাড়ী যাওয়ার পথে হারতা থেকে ভাড়ায় চালিত মটোরসাইকেল ড্রাইবার মোক্তার ফকিরের গাড়ীতে উঠে। গাড়ী চালক পথিমধ্যে বড়ইভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে ফাকাঁ রাস্তায় স্বামী সঞ্জয় রায়কে নামিয়ে দিয়ে সামনে হাটতে বলে। স্বামী সামনে হাটতে থাকলে এই সুযোগে তার স্ত্রীকে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নামিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে ধর্ষক মোক্তার ফকিরকে আটক করলে সে কৌশলে রাতেই সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

হারতা ইউপি চেয়ারম্যান ডা: হরেন রায় ও সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন সোহাগ মোল্লার মাধ্যমে ধর্ষক বিষয়টি বিশ হাজার টাকায় ধামাচাপা দেয়। ধর্ষিতা রাজি না হলে তাকে ও তার স্বামীকে চাপ দেয়।  বিষয়টি থানা পুলিশ টের পেয়ে মঙ্গলবার ধর্ষিতাকে উদ্বার করে ধর্ষন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ধর্ষিতাকে পুলিশ মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাদের হেফাজতে রেখেছেন। অভিযুক্ত দুই চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কিছুটা জেনেছেন বলেন স্বীকার করেন কিন্তু হরেন রায়  ধামা চাপা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।