উজিরপুরে প্রতিবন্ধীর ইজ্জতের মূল্য কুড়ি হাজার টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামের এক বুদ্ধী প্রতিবন্ধী গৃহবধুকে (২২) ধর্ষণের ঘটনাটি দু’ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক কুড়ি হাজার টাকায় ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের ঘটনার দু’দিন পর গতকাল মঙ্গলবার থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেছে। ওইদিন বিকেলেই ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, নাথারকান্দি গ্রামের আরেক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সঞ্জয় রায় ও তার স্ত্রী বুদ্ধী প্রতিবন্ধী গত ২৫ নবেম্বর নাথারকান্দি থেকে কালবিলা যাওয়ার পথে হারতা থেকে ভাড়ায়চালিত মটরসাইকেলে ওঠেন। পথিমধ্যে চালক মোক্তার ফকির বড়ইভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে নির্জনস্থানে সঞ্জয় রায়কে নামিয়ে দিয়ে সামনে হাটতে বলে। স্বামী সামনে হাটতে থাকার সুযোগে তার স্ত্রীকে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে নামিয়ে মোক্তার জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষক মোক্তার ফকির সাতলা ইউনিয়নের দক্ষিন সাতলা গ্রামের আব্দুল করিম ফকিরের পুত্র। বিষয়টি জানাজানি হলে হারতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায় ও সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন সোহাগ মোল্লা বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সোমবার রাতে ধর্ষক মোক্তার ফকিরকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে ধর্ষিতাকে দেয়া হয়। এতে বাঁধা সাধায় ধর্ষিতার স্বামী সঞ্জয়কে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এলাকাবাসির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে থানা পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত দু’চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন বিষয়টি কিছুটা জেনেছেন বলে স্বীকার করলেও আরেক চেয়ারম্যান হরেন রায় ধামাচাপা দেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।