ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার প্রতিবাদে বরিশালে ঔষধ মালিকদের ধর্মঘট, চরম দূর্ভোগে রোগীরা

শাহীণ হাসান, বরিশাল ॥ মেয়াদর্ত্তীন ঔষধ বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা আদায় করায় অনির্দিষ্টকালের র্ধমঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগেষ্ট সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। ঘর্মঘটের কারনে বরিশালের ৪শ ৩৬টি ফার্মেসির ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম বিপাকে পরেছে হাসপাতালে ভর্তি মুমূর্স রোগী থেকে শুরু করে সাধারন রোগী ও তার স্বজনরা। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাইল হোসেনের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানান কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগ সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল বিকেলে কেমিষ্ট এ্যান্ড ড্রাগেষ্ঠ সমিতির নেতৃবৃন্দের এক জরূরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
 
ফার্মেসির মালিকরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর বান্দ রোড ও আমতলার মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাইল হোসেনের নেতৃত্বে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় মেয়াদর্ত্তীন ঔষধ বিক্রি ও মজুদ রাখার অভিযোগে আমতলার মোড় এলাকার সজিব মেডিকেল ফার্মেসিতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট। পরে সকল ফার্মেসি সিন্ডিকেট এক হয়ে গতকাল দুপুর ১টা থেকে ফার্মেসী বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুর করেন। এনিয়ে দুপুর ২টায় নগরীর কাটপট্রি রোড এলাকায় ড্রাগ সমিতির কার্যালয় এক জরুরী বৈঠক করেন নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে ঔষধ বিক্রেতাদের হয়রানি বন্ধ ও ম্যজিস্টেট অপসারন না হওয়া পর্যন্ত বরিশালের ৪শ ৩৬টি ঔষধ ফার্মেসি বন্ধ রেখে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি মূমর্ষ রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ক্রয় করতে না পেরে চরম দূর্ভোগে পরেন রোগীর স্বজনরা। মূমর্ষ রোগী বাচাতে ঔষধের জন্য দিক বেদিক ছোটা-ছুটি করতে দেখা গেছে রোগীর স্বজনদের। এসময় রোগীর স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ফার্মেসি খোরার দাবী জানান। তবে এমারজেন্সি রোগীদের দূর্ভোগ ঠেকাতে ২টি দোকান খোলা রাখা হবে বলে জানান ড্রাগেষ্ট সমিতির সম্পাদক মো শাহ-আলম আনসারি। তিনি বলেন ভ্রাম্যমান আদালতের নামে বার বার ব্যাবসায়ীদের হয়রানী করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে সুমন মেডিকেলেও অভিযানের নামে হয়রানী করা হয়েছে। এটা বন্ধ হওয়া জরুরী। ব্যাবসায়ীদের স্বার্থে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত রাথা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংগঠনের সাবেক সম্পাদক ও বিসিসি কাউন্সিলির আক্তারুজ্জামান হিরু জানান, ২ দফা দাবী তথা ভ্রাম্যমান আদালতের মেজিস্ট্রেটের বদলী ও ব্যাবসায়ীদের কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।