আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সরকারি কর্মকর্তার কটুক্তি ॥ অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একাত্তরের রণাঙ্গন কাঁপানো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করে অশালীন মন্তব্য করায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ইন্সটাক্টর (ইউআরসি) বিপুল কুমার বাড়ৈকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল উপজেলার রাজিহারে পৌঁছে অবরুদ্ধকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিবাদ সভা করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সভার সভাপতি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইয়ুব আলী মিয়া বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন কটুক্তি রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কটুক্তি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পঞ্চম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষায় পরিবেশ পরিচিতি সমাজ বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গত ২৭ নবেম্বর উপজেলার বাশাইল কেন্দ্রের কর্তব্যরত শিক্ষক, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বর্তমান শিক্ষার মান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে উপজেলা ইন্সটাক্টর বিপুল কুমার বাড়ৈ কেন্দ্রের অফিস কক্ষে চা চক্রের সময় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করে ঔদ্ধ্যত্বপূর্ন মন্তব্য করেন। তাৎক্ষনিকভাবে তার মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন ওই চা চক্রে উপস্থিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোকলেচুর রহমান। ক্রমান্বয়ে এ খবর বাশাইল এলাকায় ছড়িয়ে পরলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরধরে বুধবার পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ইন্সটাক্টর বিপুলকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করেন। ইউআরসি বিপুল কুমার রায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম তালুকদার ঘটনাস্থলে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটি খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, সে ঘটনাটির খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। চা চক্রে উপস্থিত একাধিক শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, ইন্সটাক্টর বিপুল কুমার বাড়ৈ প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করে বলেন, “হাসিনা, মুক্তিযোদ্ধাদের পেয়ে-তাদের গরু-ছাগল সন্তানদের মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকুরি দিচ্ছে। তারা কিছুই পারেনা। শিক্ষা ডিপার্টমেন্ট ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন তাদের ক্লাশ ওয়ান অফিসার বানিয়ে দিক, তাহলেই সব হবে!”