বরিশালে শীতবস্ত্র বিকিনিকির ধুম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিন যতোই গড়াচ্ছে ততোই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আর শীত মৌসূমের শুরুতেই জমে উঠেছে বরিশালের পুরনো শীত বস্ত্রের দোকানগুলো। প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। আর হরেক রকম শীত বস্ত্রের সমাহার বসেছে বরিশাল নগরীর মহসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট ও ফজলুল হক এভিনিউর জেলা পরিষদ পুকুর পাড় এবং ফুটপাতগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরনো শীত বস্ত্রের গাইড খুলে তা আয়রণ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানগুলোতে। মহসিন মার্কেটে রয়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক দোকান। এরমধ্যে বেশিরভাগ দোকানেই শীতবস্ত্র হিসেবে শোভা পাচ্ছে বিদেশী পুরনো জ্যাকেট, কম্বল, চাঁদর, কার্ডিগ্যান ও সোয়েটার। বাকী দোকানীরা গার্মেন্টস আইটেমের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে বসেছে। বিপনিন বিতানগুলোতে যারা গরমের সময় গার্মেন্টস আইটেমের ব্যবসা করতেন তারাও এখন পুরনো শীত বস্ত্রের ব্যবসা শুরু করেছেন। মহসিন মার্কেটের জুম্মান ট্রেডার্সের মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, গার্মেন্টস আইটেমের চেয়ে শীত বস্ত্রে লাভ বেশী। তাই শীতের মৌসুমে তারা শীতবস্ত্রের ব্যবসা করেন। আবার এ মৌসুমে গার্মেন্টসের অন্য আইটেম বিক্রি হয় না বললেই চলে। বিক্রি বেড়ে যায় একচেটিয়া শীত বস্ত্রের। তাই সকল ব্যবসায়ীরা ঝুঁকে পড়েন শীতবস্ত্রের ব্যবসার দিকে। মহসিন মার্কেট ও সিটি মার্কেটসহ শীতবস্ত্রের জন্য উল্লেখযোগ্য মার্কেটগুলোতে পুরনো পোষাকের কদর বেশি। বরিশালের ব্যবসায়ীরা পুরনো শীতবস্ত্রের এ গাইড চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করে থাকেন। ব্যবসায়ীরা জানান, জ্যাকেটের গাইডের দাম পড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সোয়েটারের গাইডের দাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ সকল গাইড এমনভাবে আটকানো থাকে তাতে কি রকম মাল পড়বে তা বোঝার কোন উপায় থাকে না ব্যবসায়ীদের। কারণ আগে থেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে জ্যাকেট, সোয়াটার, কোর্ট ও কম্বলের গাইড তৈরী করে রাখা হয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে এখানের ব্যবসায়ীরা ওই সকল গাইড ক্রয় করেন। যে সকল ব্যবসায়ীর একার পক্ষে গাইড কেনা সম্ভব হয় না তারা ২/৩ জন মিলে গাইড ক্রয় করে পরবর্তীতে তা ভাগ করে নেন। শীত মৌসুমেই এ মার্কেটটি বেশী জমজমাট থাকে। এখানে ধনী পরিবার থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্র্রেণীর লোকজন শীতবস্ত্র ক্রয় করতে আসেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে বিকিনিকির কাজ। কনকনে শীত পড়ার সাথে সাথে এখানে গত ২/৩ দিন ধরে জমজমাট বেঁচাকেনা শুরু হয়েছে।