দু’টুকরো কাগজের কাছে অসহায় প্রশাসন – আগৈলঝাড়ায় এক কিশোরীকে যুবতী বানিয়ে বিয়ের দিল তার পিতা

আগৈলঝাড়া সংবাদদাতাঃ পিতার খামখেয়ালীর শিকার ৫ম শ্রেণী পড়–য়া কিশোরী নমিতা দত্ত ওরফে বিথীকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হল। নিজ এলাকায় বিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীর পিতা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের ফল ব্যবসায়ী স্বপন দত্ত বরিশাল কাশীপুরে তার আত্মীয় বাড়িতে বসে বিয়ের নামে এ বলিযজ্ঞ হল গত শুক্রবার রাতে। বাল্যবিয়ের খবর জানতে পেরে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসন বাঁধা দিলে এলাকায় উকিল বলে পরিচিত ধূর্ত স্বপন দত্ত মেয়েকে নিয়ে বরিশাল শহরের কাশীপুর চৌরাস্তার পূর্বপাশে তার আত্মীয় রতন দাসের বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে বিয়ের সমস্ত আয়োজন চূড়ান্ত করে। আগৈলঝাড়া সদর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী বিথীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় নমিতা দত্ত। জোগার করা হয় জন্মনিবন্ধন সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড। তাতে বয়স উল্লেখ করা হয় ১৯ বছর। বরিশালে প্রশাসন জানতে পেরে ম্যাজিস্ট্রেট রতন দাসের বাড়ি গেলে জন্মনিবন্ধন সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড দেখে নির্বিকার হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। কেননা কিশোরী বিথী ওই দু’টি কাগজের বলে কিশোরী থেকে যুবতী হয়ে গেছে। গত শুক্রবার রাতে তার বিয়ে হল শহরতলীর সাবেক ইউপি সদস্য নারায়ণ দাসের পুত্র মুদী ব্যবসায়ী শ¤ভু নারায়ণ দাসের সাথে। এই বাল্য বিয়ে নিয়ে আগৈলঝাড়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ হতবাক হয়ে পরেছে অভিভাবকদের এই কীর্তিকলাপে। তারা বুঝতে পারছেন না এরা কিভাবে বয়স বাড়িয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করল।