আ-মরন অনশনে বসার ঘোষনা – উজিরপুরে বিবাহের দাবীতেপ্রতারক প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকা

উজিরপুর সংবাদদাতা ॥ দির্ঘ তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ককে বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীর মর্জাদা পেতে প্রতারক প্রেমিকের বাড়িতে উঠে আমরন অনশনের ঘোষনা দিয়েছে প্রেমিকা ববিতা দাস। এঘটনা ২ ডিসেম্বর উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের গুরুবর হালদার (সাধু) এর পুত্র গোলক হালদারের বাড়ীতে ঘটেছে।

সরেজমিনে ঐ এলাকায় গেলে স্ত্রী’র মর্যাদা প্রতাশি প্রেমিকা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাক্ষ্মন বাড়ী গ্রামের বাবুলাল দাসের প্রথম কন্যা এইচ.এস.সি অধ্যায়ন রত ববিতা দাসের সাথে গোলক হালদারের তিন বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। প্রেমের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে প্রতারক প্রেমিক গোলক হালদার বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২ বছর যাবৎ অবৈধ ভাবে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভোগ করতে থাকে। বিষয়টি সামাজিক ভাবে জানাজানি হলে উভয় পক্ষের গার্ডিয়ানদের মধ্যে সামাজিক ভাবে বিবাহের কথাবার্তা হয় এবং কন্যা পক্ষ ৩০ নভেম্বর ছেলেকে স্বার্ণের চেইন দিয়ে হিন্দু ধর্মিয় রিতী নিতি অনুসারে আর্শিবাদ করে। এর পরে প্রতারক প্রেমিক তার প্রেমিকা ববিতাকে বিবাহ না করার উদ্দেশ্যে অন্যত্র বিবাহের জন্য পাত্রী দেখা শুরু করে। এ সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা তার সর্বস্ব হারানোর পরে সুস্থ না থাকতে পেরে প্রতারক প্রেমিক গোলক হালদারের বাড়ীতে গত রবিবার রাতে ওঠে। এঘটনায় গোলক ও তার বাবা গুরুবর হালদার বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে হারতা ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি লম্পট গোলকের পক্ষে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে বলে ববিতার বাবা বাবুলাল দাস ও মা রিনা রাণী দাস এবং স্থানীয় ব্যক্তি বর্গরা অভিযোগ করেছেন। এ অবস্থায় প্রেমিকা ববিতা কালবিলা গ্রামে গোলকের বাড়ীতে সামাজিক ভাবে বিবাহের দাবিতে আ-মরন অনশনে বসার ঘোষনা দিয়েছে। এ অবস্থায়, বরিশাল মহিলা পরিষদ সহ মানবাধিকার সংগঠন গুলোকে ববিতার পাশে দারানোর আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।