আজ বরিশালে জামায়েতের হরতাল – সংঘাতের আশঙ্কা

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ যুদ্ধাপরাধের মামলায় অভিযুক্ত শীর্ষ নেতাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার সারা দেশের সাথে একযোগে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বরিশাল জামায়াতে ইসলামী। বরিশাল মহানগর জামায়েতের আমীর মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল সোমবার এক বিবৃতিতে এই হরতালের ঘোষণা দেন। সূত্র জনিয়েছে, মঙ্গলবারে জামায়েতের ডাকা হরতাল রুক্ষতে প্রশাসনের পক্ষ মাঠে থাকবে সর্বচ্চো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশকে সহযোগিয়তা করতে পাশাপাশি মাঠে থাকবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরীতে বড়রকমের সংঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সংশ্লিষ্ঠরা। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার নগরীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল । তবে বরিশাল মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে জামায়েতকে ওই কর্মসূচির অনুমতি দেয়া হয়নি।

কর্মসূচীর অনুমোতি না দেয়ায় জামায়াতের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আশা করেছিলাম সরকার গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি প্রদান করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সমাবেশের অনুমতি তো দেয়াই হয়নি, উপরন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর মিডিয়ার সামনে অত্যন্ত কড়া ও রূঢ় ভাষায় বলেছেন, ঢাকাসহ দেশের কোথাও জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ ও মিছিল করতে দেয়া হবে না।“জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সভা ও মিছিলের অনুমতি নেয়নি এবং আবেদনও করেনি। অথচ গত ২৯ নবেম্বরই বরিশাল মহানগরী জামায়াতে ইসলামীসহ সংগঠনের পক্ষ থেকে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। এ সব ঘটনা প্রবাহ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।” শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে নভেম্বর মাসের শুরু থেকে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আসছে জামায়াত-শিবির। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত  পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় শতাধিক জামায়াত কর্মীকে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান আমীরসহ শীর্ষ আট নেতার বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলার শুনানি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।