আগৈলঝাড়ায় বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের নিকট ৮ দফা সুপারিশ আজও বাস্তবায়ন হয়নি

উন্মুক্তকরে নৌচলাচলের সুবিধা সহ ব্রিজ নির্মাণ। (২), বাকাল- রাজিহার-মাগুরা বেরিবাঁধের রাজিহার ব্রিজ সংলগ্ন রাজিহার খালের মুখ উন্মুক্ত করে নৌচলাচলের সুবিধা সহ একটি ব্রিজ নির্মাণ। (৩), বাশাইল-মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের মাঝামাঝি স্থানে একটি বড় কালভার্ট নির্মাণ করা। (৪), পয়সারহাট-ত্রিমূখী বাজারের  সুবিধাজনক স্থানে ৮-১০ দরজা বিশিষ্ট  সুইচ গেইট নির্মাণ। (৫), পয়সারহাট-কালুপাড়-রত্নপুর বেরীবাঁধে রামের বাজার খালের মুখে সুইচ গেইট অথবা ব্রিজ নির্মাণ। (৬), পয়সারহাট-কালুপাড়-রত্নপুর বেরীবাঁধে কাঠিরা খালের মুখে কালভার্ট নির্মাণ করা।  (৭), পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গোপালগঞ্জের রামশীল সু্ইচ গেইট, ছয়গ্রাম (মিশ্রীপাড়া) সুইচ গেইট সহ ইনলেট, আউটলেটগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষণ করার প্রয়োজন। (৮), আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্নখাল বিশেষত যেসকল খালের মুখে বাঁধ রয়েছে এবং ব্রিজ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে সে খালগুলো পুণঃ খনন করা প্রয়োজন। উপরোক্ত ৮ দফা সুপারিশ বিগত ৪বছর পূর্বে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরেও অনুরুপ সুপারিশের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তৎকালিন জেলা প্রশাসক মঞ্জুর-ই-এলাহী   উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন স্থানে বেরীবাঁধের উপর ব্রিজ ও সুইচ গেইট নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল বিভাগ জেলা প্রকৌশল বিভাগকে ইতমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে কালভার্ট ও সুইচ গেইট নির্মাণের সাম্বাব্যতা যাচাই করা সহ  বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রপোজাল (পি.পি)  এর মানচিত্র প্রেরণ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। এলাকার জনসাধারণের দাবি উত্তরে মাদারীপুর ও ফরিদপুর থেকে নেমে আসা উজানের বন্যার পানি দ্রুত অপসারণ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত হওয়া এবং শুস্ক মৌসুমে চাষাবাদে সেচের জন্য পানির অভাবে উল্লেখিত সুপারিশ সমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু দৃষ্টি কামনা করছে আগৈলঝাড়া উপজেলার জনগন।