বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি বাঁচতে চায় – প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের øেহধন্য রণাঙ্গন কাঁপানো বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. ওসমান গনি মস্তিস্কে রক্তক্ষরন (ব্রেন স্টোক) জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় এখন শষ্যাশয়ী রয়েছেন। অকুতভয় এ বীর সৈনিকের সু-চিকিৎসার জন্য তার অসহায় পরিবার সমাজের মহানুভব সমাজপতি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন।

বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক জানান, বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা সদরের বন্দর বাজার এলাকার বাসিন্দা এম. ওসমান গনি। ১৯৬৭ সনে চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের জিএস নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ৪৫ বছর নিরন্তর ছুঁটে চলার পর গত ১০ অক্টোবর এ মহান নেতাকে থামিয়ে দিয়েছে মস্তিস্কে রক্তক্ষন জনিত রোগে। ১৯৭২ সন থেকে ৯৭ সন পর্যন্ত এম. ওসমান গনি একনাগারে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সর্বশেষ গত ১৪ মে সম্মেলনের দিন বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সোনার বাংলা বির্নিমানে আপোষহীন ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা জানান, ১৯৬৭ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজ পরিদর্শনে আসলে তৎকালীন জিএস ও তরুন ছাত্রলীগ নেতা এম. ওসমান গনি তার প্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। ওইসময় বঙ্গবন্ধু সেই মালা খুলে ওসমান গনির গলায় পড়িয়ে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে আমৃত্যু পর্যন্ত কাজ করার উপদেশ দিয়েছিলেন। প্রিয় নেতার সে দিনের নির্দেশনা ও উপদেশ মেনে ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করে বীরত্বের ভূমিকা পালন করেন ওসমান গনি। রাজনৈতিক জীবনে তিনি অসংখ্যবার বিরোধী দলের হামলা ও মামলার স্বীকার হয়েছেন। তাতেও কখনও বিচ্যুত হননি প্রিয় নেতার আদর্শ থেকে। বানারীপাড়া পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাহাদ সুমন জানান, দীর্ঘদিন থেকে বানারীপাড়ার বন্দর বাজারের ওসমান গনির বাসাটি স্থানীয় আ’লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যবহার করেছেন দলীয় কার্যালয়ের ন্যায়। দলকে তিনি ভাল বাসতেন নিজ সন্তানের মতো। স্ত্রী ও সন্তানদেরও হাঁটিয়েছেন প্রিয় নেতার আদর্শের পথে। একমাত্র ছেলে শাহীন মাহমুদ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে উপজেলা যুবলীগ নেতা হিসেবে বাবার পাশে রয়েছেন সতীর্থ সহযোদ্ধা হয়ে। মেয়েরাও স্কুল-কলেজে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার সহধর্মীনি উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিলি ওসমান। যিনি বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে এ জনপদে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে চলছেন। ওসমান গনি জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন যে দলের জন্য সেই আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার আমলে অর্থাভাবে সু-চিকিৎসার অভাবে বর্ষিয়ান এ মুজিব সৈনিক এখন রয়েছেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে।

সূত্রমতে, গত ১০ আগষ্ট হঠাৎ করে মস্তিস্কে রক্তক্ষরন জনিত রোগে আক্রান্ত হন ওসমান গনি। পরিবারের লোকজনে প্রথমে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকার আল-রাজি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা করাতে গিয়ে পুরো পরিবারটি অর্থসংকটে পরেন। একপর্যায়ে অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসা দিতে না পেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনিকে বানারীপাড়ার বাসায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে অর্থাভাবে পুরোপুরি বিনাচিকিৎসায় রয়েছেন মুজিব আদর্শের অকুতভয় বীর সৈনিক এম.ওসমান গনি। তাই ওসমান গনির সহধর্মীনি লিলি ওসমান তার স্বামীর সু-চিকিৎসার জন্য সমাজের মহানুভব সমাজপতি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন।

বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি বাঁচতে চায় - প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ