আওয়ামী লীগের সাথে থাকলে জামায়াত বন্ধু আর বিএনপির সাথে থাকলে রাজাকার -সরোয়ার

বরিশাল সংবাদদাতা ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি বলেছেন, জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করলে তাদের বন্ধু হয়। আর বিএনপির সাথে থাকলে হয় রাজাকার। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা তৎকালীন জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের পায়ে সালাম করে আশির্বাদ নিয়েছিলেন। তাতে কোন দোষ হয়নি। কিন্তু ১৮ দলের শরিক দল হওয়ায় জামায়াতের সাথে বিএনপিকেও রাজাকার বলা  হচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের এ বক্তব্য অর্বাচিনের বক্তব্য বলে মনে করছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্তমান সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সরোয়ার বলেন গত নির্বাচনে জনতার ভোটে ক্ষমতা গ্রহন সম্ভব নয় জেনে সেনাবাহিনীর সহায়তা পেতে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনকে আহবান করেছিলেন। তাদের সাথে আতাত করেই তিনি ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। ক্ষমতা গ্রহনের পর দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে এ রাজনৈতিক দলটি। কিন্তু ক্ষমতায় আকাড়ে থাকতে সর্বজন স্বীকৃত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজ দলের অধিনে নির্বাচন দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু দেশবাসী তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।

মহানগর জামায়াতের আমির এ্যাড. মোয়াজ্জম হোসাইন হেলাল বলেন গণ আন্দোলনে ৯০ সালের বিশ্ব বেহায়া স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ এখন গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে   যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে বিচার করতে চলেছে। যুদ্ধাপরাধের নামে প্রহসন মুলক বিচার হলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ এমপি, প্রবীন বিএনপি নেতা এএইচএম সালেহ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এবায়েদুল হক চান, উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, বিএনপি নেতা এ্যাড. আলী হায়দার বাবুল, মনিরুজ্জামান ফারুক, ইসলামী ঐক্যজোটের মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম মোঃ আব্দুল জব্বার, যুবদল নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান পিন্টু, পিপলস লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুদ হাসান মামুন, মহানগর শিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান প্রমুখ। এদিকে সকালে একই দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে দক্ষিন জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির স্ধাারন সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের নেতৃত্বে অশ্বীনী কুমার টাউন হল চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কাযালয়ের সামনে এসে এক সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপি নেতা এ্যাড. সাইয়্যেদ আহমেদ মধু, হাবিবুর রহমান টিপু, জেলা যুবদলের সভাপতি খাজা মোঃ ইকবাল, ছাত্রদল নেতা জিএম আতায়ে রাব্বি, নুরুল আলআমিন কয়েস, আমিনুল ইসলাম লিপন, নাজমুল হাসান ছবির প্রমুখ।