গৌরনদীতে চিকিৎস্যক কর্তৃক রোগীর আত্মীয়র টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ গৌরনদী হাসপাতালের একজন চিকিৎস্যক কর্তৃক রোগীর মামার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুলাদীর রামারপোল গ্রামের বেল্লাল হোসেন লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলতে গিয়ে  তার ভাগ্নে উমায়ের হোসেন (১০) এর ডান হাত ভেঙ্গে যায়। ওইদিন সন্ধায় তাকে গৌরনদী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে  মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ডাঃ দেওয়ান আব্দুস সালাম উমায়েরকে চিকিৎস্যা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎস্যা শেষে বেল্লালের কাছে তিনি দুই হাজার টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ডাঃ দেওয়ান আব্দুস সালাম তার পকেট থেকে জোর করে দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। বিষয়টি মেডিকেল অফিসার সেকান্দার মোল্লাকে জানানো হলে তিনি উল্টো ভাবে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন বলে বেল্লাল জানান। এ সময় চিকিৎস্যকদের স্থানীয় কতিপয় দালালের হাতে নাজেহাল হন বেল্লাল হেসেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডাঃ সালাম হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎস্যা নিতে আসা রোগীদেরকে প্রতিনিয়ত টাকার জন্য নানাভাবে হয়রানী করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎস্যক ও কর্মচারী জানান, জরুরী বিভাগে চিকিৎস্যা নিতে আসা রোগীরা তার কাছে জিন্মি। অঞ্জাত কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কেউ। তারা আরো জানান, কর্তৃক্ষকে ম্যানেজ করে মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট সালাম একই হাসপাতালে বিধি বহিভূর্তভাবে দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর যাবত এক নাগারে চাকুরী করছেন। তিনি দাপটের সাথে চলাফেরা করেন বলেই সবাই তাকে ভয় পায়।

অভিযোগ সম্পর্কে ডাঃ সালামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, জোর করে নয় তিনি খুশি হয়ে যা দিয়েছে তাই নিয়েছি। মেডিকেল অফিসার ডাঃ সেকান্দার মোল্লার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি ওই সময় হাসপাতালে ছিলাম না।