কোটালীপাড়ায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল

কোটালীপাড়া ( গোপালগঞ্জ ) সংবাদদাতা ॥ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল। পুরাতন গ্রুপিং আবার মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পরেছে নেতা কর্মীরা। অপরদিকে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

আওয়ামীলীগের দলিয় সূত্রে জানাগেছে-গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে সম্মেলন করেছে। এর মধ্যে কলাবাড়ী ও রামশীল ইউনিয়নে গ্রুপিংয়ের কারনে কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরতে পারে বলে আওয়ামীলীগের সাধারন কর্মীরা আশংকা প্রকাশ করছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লাল মোহন বিশ্বাস বলেন-যে সকল ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকগন ঘরে বসে পকেট কমিটি গঠন করেছে,আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সে সকল ইউনিয়নে কমিটি গঠন করতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন-উপজেলা আওয়ামীলীগের গ্রুপিং এখন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ পর্যন্ত পৌছে গেছে। যার কারনে আমাদের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে বেগ পেতে হচ্ছে।

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন-আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ভাবছি না। আমাদের জেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশ ক্রমে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করছি। উপজেলা যুবলীগে কোন গ্রুপিং নেই। ইতিমধ্যে আমরা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছি।

উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক বাবুল হাজরা বলেন-এ মাসেই উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। আমরা উপজেলার সকল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেছি। আমাদের ছাত্রলীগের মধ্যে কোন গ্রুপিং নেই। আমরা আওয়ামীলীগের গ্রুপিংয়ের সাথে জড়াতে চাইনা।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির উপজেলা আওয়ামীলীগে গ্রুপিংয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন-আমরা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে সম্মেলন করেছি। এর মধ্যে রামশীল ও কলাবাড়ী ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি সঠিক ভাবে না হওয়ার কারনে ওই দু’টি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করতে পারিনি।