বরিশালের এক ইমামের কান্ড! জুতা চালানের মাধ্যমে চোর সনাক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ মসজিদের এক ইমাম কর্তৃক জুতা চালানের মাধ্যমে গ্রামের নিরিহ লোকদের চোর সনাক্ত করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার গোবর্দ্ধন গ্রামে। ওই গ্রামের আন্দিরপাড় বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আসাদুজ্জামানের শরীয়ত বিরোধী এ কর্মকান্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, গত চার বছর পূর্বে ওই মসজিদে চাকুরি নিয়ে ইমাম আসাদুজ্জামান গ্রামের সহজ সরল লোকদের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ঝাঁড়ফুক দিয়ে ও জুতা চালানের মাধ্যমে গ্রামের নিরিহ ব্যক্তিদের চোর সনাক্ত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অতিসাম্প্রতি সে ওই গ্রামের একজন নিরিহ লোককে জুতা চালানের মাধ্যমে চোর সনাক্ত করলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এলাকার বিজ্ঞ আলেমরা জানিয়েছেন, ইমাম আসাদুজ্জামান যা করছে তা সম্পূর্ন শরীয়তবিরোধী কাজ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মসজিদ পরিচালনায় কোন কমিটি না থাকায় ওই ইমাম এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে। ইমাম মোঃ আসাদুজ্জামান নিজেকে একজন কোরআনের হাফেজ ও মাওলানা পরিচয় দিলেও তিনি উপজেলার পশ্চিম শাওড়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে সপ্তম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইমাম আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নবম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছি। মসজিদের মাহফিলের সময় কর্তৃপক্ষ আমার নামের পিছনে হাফেজ ও মাওলানা উল্লেখ করেছেন। তিনি আরো বলেন, জুতা চালানের তদবির করেছেন মসজিদের সাবেক ইমাম সাইফুল্লাহ, আমি শুধু সুরা পরেছি।